গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ৩ – Bangla Choto Golpo

Bongconnection Original Published
4 Min Read


 গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ৩ – Bangla Choto Golpo

গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী - পর্ব ৩ - Bangla Choto Golpo
Loading...

গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী

Loading...
গোপন পরকীয়া
বিজলি রূপে যে আহামরি কিছু ছিলো তা নয়।কিন্তু,বিজলি তার দেহের সোমরসে
নীলাঞ্জনকে নেশাগ্রস্ত করে রাখতে বারবার তারই দিকে ইশারা করতো।আর বিজলির সেই
মায়াময় ইশারায় প্রলুদ্ধ মৌমাছির মতই নীলাঞ্জন নতুন একখানি মৌচাক গড়বে বলে
মনস্থির করে ফেললো।
বিজলির সাথে নীলাঞ্জনের গোপন সম্পর্কের বিষয়টা বেশ কয়েকবার কুহেলীর কানে
উঠেছিলো।কিন্তু,কুহেলী ভেবেছিলো-ধনীদের নিয়ে যে কেউই কারোর সাথে গসিপ বানাতে
পছন্দ করে।ওটাও জাস্ট গসিপ ছাড়া আর কিছু নয়।তবে,কোনো এক পার্টিতে ওদের দুজনের
ঘনিষ্ট এক দৃশ্য যেদিন ওর হোয়াটসঅ্যাপে 

অচেনা এক নাম্বার থেকে ফরওয়ার্ড হয়ে এলো,ঠিক সেদিন থেকে কুহেলীর মনে ধরে গেলো
একটা কথাই চিন্তা করে-যদি নীলাঞ্জন তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে সে

বিজলিকে ফের বিয়ে করে তবে তার এই আরামের জীবনটার কী হবে?আসলে,সে তো ভালো থাকতে
এসেছিলো নীলাঞ্জনের কাছে।তার প্রতি কোনো টান বা গভীর ভালোবাসা এই সব তো
ছিলোনা।শুধুমাত্র
নীলাঞ্জন কেন,অহনের প্রতিও একদিনের পর থেকে কোনো ভালোবাসা ইত্যদি ছিলোনা।নইলে
কী আর অহনকে ছেড়ে, পরীকে ছেড়ে সহজেই চলে আসে!


গৃহবধূর পরকীয়া গল্প 

সন্তান হয়ে গেছে মানে কী স্বামী স্ত্রীরা রোমান্স করতে ভুলে যায়?যায় না
নিশ্চই?কুহেলী সেটাই লক্ষ্য করে যে,নীলাঞ্জন আর আগের মত আছে কিনা?তাকে সে আগের
মতই ভালোবাসছে কি না?কিন্তু,নীলাঞ্জনের
মধ্যে সে যেটা দেখতে পেয়েছিলো এতদিন সেই সেটা আর বিন্দুমাত্র খুঁজে পেলোনা।
ক্রমেই নীলাঞ্জনের নামে যে হাওয়াটা চর্তুদিকে ছড়িয়েছিলো সেই হাওয়া মিথ্যে
নয়।তাই কুহেলী একদিন নীলাঞ্জনের কাছেতে সরাসরি জানতে চাইলো-
-‘বিজলি কে?তোমার সাথে ওর নাম জড়াচ্ছে কেন?’
নীলাঞ্জন বুঝলো,কুহেলী সবকিছুটাই যখন জেনে গেছে তখন লুকিয়ে লাভ নেই।সেও ডিরেক্ট
কুহেলীর মুখের ওপর বলে দিলো-
-‘বিজলিকে আমি ভালোবাসি।আর সামনের মাসে ও এখানে চলে আসবে।আমরা এখন থেকে লিভ ইন
করবো দুজনে।’
নীলাঞ্জনের জবাব শুনে কুহেলী মেজাজ দেখিয়ে বললো-
-‘তুমি যদি এমনটা করো,আমি তোমার নামে কেস করবো থানায় যে তুমি আমার সাথে ফ্রড
করেছো।’

নীলাঞ্জন,কুহেলীর কথায় চমকে না গিয়ে বরং তার দিকে তাকিয়ে একবার হেসেই
ফেললো।তারপর সে হাসতে হাসতেই বললো-

-‘হাসালে কুহেলী।ফ্রডিং করা কাকে বলে তা তোমায় দেখে শিখুক কেউ।আর পুলিশের ভয়
দেখিওনা তো।আমি যদি সত্যিটা খুলে দিই যে তুমি এক সন্তানের 
মা হয়েও তাকে ছেড়ে দিয়ে আমায় বিবাহ করেছো।তখন..তখন কী হবে জানেমান?’
কুহেলী এবার সত্যি ভয় পেলো।কারন সে যে কান্ডটা ঘটিয়ে এসেছে অতীতে,সেটা থেকে
বাঁচবে কীকরে যদি নীলাঞ্জন তার নামে ঘুরে পুলিশকে জানিয়ে দেয় তার ব্যাপারে।তাই
সে অবস্থা বেগতিক বুঝে গলার স্বর বদলে ফেলে নরম সুরে নীলাঞ্জনকে বললো-


পরকীয়া কাহিনী

-‘বলছি,তুমি বিজলির সাথে থাকতে চাও থাকোনা।তাতে আমার কোনো অসুবিধেই নেই।তবে
আমাদের এই মেয়েটার কথাটা একবার ভাবো।এতো তোমারই মেয়ে।’
নীলাঞ্জন বুঝলো কুহেলী ইমোশোনাল ব্ল্যাকমেলিং আরাম্ভ করেছে।তার ওই ফাঁদে পা
গলানো যাবে না।তাছাড়া,ও মেয়ের প্রতিও তার টানটুন নেই।সেও কী আর চেয়েছিলো কুহেলী
এত জলদি বাচ্চাকাচ্চার মা হয়ে যাক।অতএব,সে কুহেলীর ছলনায় পা গলালো না।সে
কুহেলীকে জানিয়ে দিলো-

-‘আমি তোমাকে ডিভোর্স করতে চাই।আর যতই বুদ্ধি ধরো যে আমার সম্পত্তিতে হাত
মারবে।ওটা চলবেনা জানেমান।সো,তুমি যাবার প্রস্তুতি নিতে আরম্ভ করে দাও আমি
ওদিকে ডিভোর্সের পেপার রেডি করছি লইয়ারকে দিয়ে।’

Share This Article