প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প (সম্পর্কের চোরাবালি) – Praptoboyeshkoder Golpo

Bongconnection Original Published
13 Min Read


 প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প (সম্পর্কের চোরাবালি) – Praptoboyeshkoder
Golpo 

প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প (সম্পর্কের চোরাবালি) - Praptoboyeshkoder Golpo
Loading...

সম্পর্কেরচোরাবালি
– ইন্দ্রাণী দে রায়ভট্টাচার্য্য
(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)
— “উফফ মা দরজাটা খোলো না! তোমরা সবাই কেন এত ব্যস্ত থাকো!”
মনামী দরজাটা খুলতেই সিমি অর্থাৎ সীমন্তিনী হুড়মুড়িয়ে ঢুকে মাকে এক ধাক্কা দিয়ে
সরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিজের ঘরে গিয়ে ধড়াম করে দরজাটা আটকে দিলো আর তার সাথে
উচ্চ স্বরে কান্নার আওয়াজ বেরোতে শুরু করলো ওই ঘর থেকে। সূর্য আর মনামী প্রথমে
হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। কিছুক্ষণ পর সম্বিত ফিরে পেয়ে মনামী মেয়ের ঘরের দিকে
দৌড়ালো।
দরজা আটকানো ফলে বাইরে থেকে দরজা ধাক্কানো ছাড়া আর উপায় নেই। মনামীর সাথে এবার
সূর্যও যোগ দিলো। এক সাথে,
— “সিমি দরজাটা খোল মা। কি হয়েছে বল আমাদের।”
বলে চিৎকার করতে আরম্ভ করলো। ভেতর থেকে সিমিও চিল্লিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলতে
লাগলো,
— “কাউকে আমার দরকার নেই। তোমরা কেউ আমাকে চাও না! কেউ বোঝো না যে আমি একটু
ভালোবাসা চাই শুধু!”

এতো আওয়াজ শুনে সিমির ঠাকুমা, সৌদামিনী দেবী আস্তে আস্তে পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে
এলেন। মনামী তাকে দেখেই কেঁদে ফেললো।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গল্প

Loading...
— “ও মা দেখোনা মেয়েটা কি পাগলামি করছে!”
বলতে বলতে ঝরঝর করে কাঁদতে লাগলো। তখন সৌদামিনী দেবী, যাকে আদর করে সিমি
“দিদিয়া” বলে ডাকে, তিনি আস্তে আস্তে দরজা ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলে উঠলেন,
— “সোনা বোন আমার দরজা খোল সোনা। কী হয়েছে আমাকে, তোর দিদিয়াকে তো বল সোনা। আর
কাউকে বলতে হবে না।”
দরজায় একটা খুট করে আওয়াজ হলো আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দিদিয়াকে টানতে টানতে নিজের
খাটে বসিয়ে আবার হাউ মাউ করে সিমি শুরু করলো কান্না। মনামী আর সূর্য ঘরে ঢুকতেই
সৌদামিনী দেবী ইশারা করলেন ওনাদের বাইরে যেতে। তারপর অশীতিপর হাত দিয়ে সিমির
মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন,


— “বল সোনা বোন, নাতজামাই কি দোষ করেছে? আমি বকে দেবো আচ্ছা করে।”
সিমি গোঙাতে গোঙাতে বলে উঠলো,
— “জানো দিদিয়া ও রোজ রাত করে বাড়ি ফেরে। জিজ্ঞেস করলে বলে কাজের চাপ। ফোন
নিয়েও খুট খুট করে সারাক্ষণ যতক্ষন ঘরে থাকে। ও দিদিয়া গো….এ যে আমার কি
হলো…ওই হাড়ে বজ্জাত ছেলে যে অন্য কারোর সাথে প্রেম করছে। আমার সাধের সংসার আর
করা হলো না গো!”

বলে আবার ডুকরে কেঁদে উঠলো। ঠিক তখনি,
— “ও বাবা, মা, ওগো সীমন্তিনী কই গো তুমি! ওই তো ওঘরে! আরে সরুন সরুন আমাকে
যেতে দিন!”
বলতে বলতে হুড়মুড়িয়ে আরেকজন ঢুকলো। ঢুকেই সোজা,
— “আমাকে ছেড়ে কেন চলে এলে গো! আমি তো শুধু তুমি সারাদিন ফোনে সেলফি তুলতে আর
ফেসবুক করতে তাই একটু জেলাস ফিল করানোর জন্য এরকম করেছি! তাই বলে বাড়ি ছেড়ে
দেবে গো তুমি!”
বলতে বলতে মাটিতে থেবড়ে বসে পড়লো অনির্বাণ, সীমন্তিনীর “হাড়ে বজ্জাত” বর,
মনামী-সূর্যের জামাই আর সৌদামিনী দেবীর নাতজামাই।
সূর্য আর না থাকতে পেরে একটা হুংকার দিয়ে বলে উঠলো,
— “চুপ করবি তোরা সবাই। কেউ একজন এই সিমি না না এই অনির্বাণ বলো তো কি হয়েছে?
ঠিকঠাক বলবে নাহলে আমার মেয়েকে কাঁদানোর ফল টের পাবে এই আমি বলে দিলাম।” 
সবাই নিমেষে কিরকম চুপ হয়ে গেলো আর সিমি দৃষ্টি দিয়ে অনির্বাণকে ভষ্ম করতে
লাগলো। অনির্বাণ বোমকে যাওয়া মুখ নিয়ে একটা ঢোক গিলে মিন মিন করে তোতলাতে
তোতলাতে বলে উঠলো,
— “আমি পরকীয়া করছি এই মানে করবো ধুত্তোর করবো না, ধুর ও বাবা আমি কিছু
জানিনা। আমি সীমন্তিনীকে খুব ভালোবাসি। ও সবসময় ফোনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকতো
তাই আমি ওকে আমার দিকে ফেরানোর জন্য একটু নাটক করেছি কিন্তু ও ভুল বুঝেছে
আমাকে! আমি নির্দোষ ইওর অনার! এই না ইওর বাবা না মানে শুধুই বাবা! এই আপনার,
মায়ের, বড় গিন্নির দিব্বি। আমি ওকেই শুধু ভালবাসি খুব! মা কালি!”
সিমি বড় বড় চোখ করে কান্নাটা গিলতে গিলতে খাট থেকে নামতে নামতে বলে উঠলো,
— “ঠিক বলছো! তুমি ঠিক বলেছ তো? নাহলে বাবা জেলে পুরে দেবে! মনে থাকে যেন!”
অনির্বাণ এক লাফে উঠে সিমিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
— “ওগো সিমু তুমি আমার প্রান গো। তোমাকে ছেড়ে কোনোদিন অন্য মেয়েকে দেখিনি,
দেখবোও না গো…”
সিমি নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে উঠলো,
— “আহঃ! ছাড়ো! ধ্যাৎ! বাবা, মা, দিদিয়া আছে যে!”
এক হাত লম্বা জিভ কেটে অনির্বাণ তৎক্ষণাৎ সিমিকে ছেড়ে সৌদামিনী দেবীর পাশে বসে
পড়লো। মনামী আর সূর্যও নিশ্চিন্ত হয়ে ঘর থেকে বেরোতে বেরোতে জামাই আর মেয়েকে কি
কি খাওয়াবে দুপুরে সেই হিসেব করতে লাগলো।

প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমের গল্প

অনির্বাণ এবার আরাম করে তার বড় গিন্নির (অনির্বাণ সৌদামিনী দেবীকে আদর করে বড়
গিন্নি বলে) পাশে বসলো আর সিমিকে একচোখ মেরে হাত ধরে টেনে ওর পাশে বসিয়ে দিলো।
সৌদামিনী দেবী হাসতে হাসতে উঠতে যেতেই অনির্বাণ ওনার হাত ধরে বলে উঠলো,
— “এই যে বড় গিন্নি কই চল্লে! আমি এলাম আর তুমি চলে যাচ্ছ! উঁহু সেটি হবে না!”
সিমি ও হাসতে হাসতে ওনার আরেক হাত ধরে বসিয়ে দিলো আবার। সৌদামিনী দেবী মুচকি
হেসে বলে উঠলেন,
— “আমার কত্তামশায়ের কিছু দাবি আছে বলে মনে হচ্ছে! আমার কিন্তু এখনও স্নান
হয়নি, পুজো হয়নি, এখন ছাড়ো কত্তামশাই দুপুর বেলায় খেয়ে দেয়ে অনেক গল্প করবো
তোমাদের সাথে। কেমন?”
অনির্বাণ আর সীমন্তিনী একযোগে বলে উঠলো,
— “দুপুর বেলায় গল্প শোনাতে হবে কিন্তু! প্রমিস করো তুমি!”

ফোকলা মুখে হেসে সৌদামিনী দেবী মাথা নাড়িয়ে তার সম্মতি জানালেন আর আস্তে আস্তে
উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন।

দুপুরের ভুরিভোজের পর মনামী ক্লান্ত হয়ে ঘরে শুয়ে নাক ডাকছে, সূর্য ডাইনিং-এ
বসে টিভিতে খেলা দেখছে আর তিন কর্তা-গিন্নি তাদের ঘরে দ্বিপ্রাহরিক বৈঠকে
মশগুল। হটাৎ অনির্বাণ তার বড় গিন্নিকে জিজ্ঞেস করলো,
— “ও বড়ো গিন্নি তোমাদের সময় এসব পরকীয়া টরকীয়া হতো গো?”
সিমিও উৎসাহ ভরে তার দিদিয়ার দিকে চেয়ে রইলো। সৌদামিনী দেবী তখন একটা দীর্ঘ
নিঃশ্বাস ফেলে বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন,
— “পরকীয়া কিনা জানিনা বাপু, তখন অত সম্পর্কের নাম তো জানতাম না, তো যাই হোক
আমার এক সই মানে এক বন্ধুর গল্প বলি শোনো….১৮ বছর বয়েসে তোদের দাদানের সাথে
বিয়ে হয় আমার। বিয়ের পর কলকাতায় চলে আসি। সেখানে পাশের বাড়িতে আমার সমবয়সী এক
বউ থাকতো। তার কথাই বলবো আজ। ধরা যাক তার নাম বিদ্যুৎলতা। আমি তাকে ভালোবেসে
বিদ্যুৎ বলে ডাকতাম। ওর বরের বয়েস তোদের দাদানের মতোই। একই জায়গায় চাকরি করতেন
দুজনেই। শ্বশুরবাড়িতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ী, চাকর বাকর এছাড়াও এক দেবর, ওই ধর
আশ্রিত মতন, সে থাকতো। বিদ্যুতের বর শান্ত ব্যক্তি ছিলেন, ঠিক তোদের দাদানের
মতন একটু বেশি রকমেরই শান্ত!”
একটু দম নেয়ার জন্য থামলেন সৌদামিনী দেবী। পাশ থেকে গ্লাস নিয়ে এক ঢোক জল খেয়ে
আবার বলতে শুরু করলেন,
আরো পড়ুন, বড়দের গল্প
— “তোরা বড় হয়ে গেছিস, বিয়েও হয়ে গেছে তাই আজ আর কোনো ঘুরিয়ে কথা না, সোজাসুজি
বলবো সব। তো হ্যাঁঁ যেটা বলছিলাম, বিদ্যুতের বর বড়ই শান্ত, এতটাই শান্ত যে
বিছানাতেও সে ঠান্ডা। ওর আর আমার বিয়ে কয়েকদিনের এদিক ওদিকে হয়েছিল।দুজনের
আড্ডা দেয়ার জায়গা ছিল ছাদের কোনে। লুকিয়ে লুকিয়ে ছাদের কোনায় বসে আচার খেতে
খেতে সে এগুলো বলতো আমার কাছে। তার বন্ধুদের কাছে বিবাহিত জীবনের রঙ্গীন গল্প
শুনে সেও আশায় ছিল যে তার জীবনেও এরকম রঙ্গীন রাত অনেক আসবে। কিন্তু স্বপ্ন
ভঙ্গের জ্বালায় পাশে শীতল স্বামী নিয়ে সারারাত ছটফট করতাম। ভোরের দিকে স্নানঘরে
গিয়ে বালতি বালতি জল ঢেলে নিজেকে ঠান্ডা করতাম!”
সৌদামিনীকে থামিয়ে দিয়ে সিমি বলে উঠলো,
— “করতাম নয় গো! বলো যে ও করতো!!”
সৌদামিনী মৃদু হেসে বলে উঠলো,
— “কোথায় যেন ছিলাম হ্যাঁঁ তো ছাদে এসে কাঁদতে কাঁদতে এসব বলতো। আমি চুপ করে
শুনতাম, আর কিই বা করতে পারি..এরপর কিছুদিন হলো বিদ্যুৎ আসা বন্ধ করে দেয়।
কথাটা আমার শাশুড়ি মাকে বলতে উনি বলেন যে ওর শ্বশুর, শাশুড়ি নাকি দেশের বাড়ি
গেছে কি একটা কাজে। তাই ও আসতে পারছে না। আর কিছুদিন পরেই ওনারা এসে গেলেই
বিদ্যুৎ আসতে পারবে আবার। দিনকুড়ি পর আবার হাজির সে। তবে এইবার বিদ্যুতের মুখ
চোখ চকচক করছে যেন কিছু একটা নিষিদ্ধ জিনিস পাওয়ার আনন্দে। আবার আমাদের গল্প
করার জায়গায় পৌঁছাতেই সে আবেগে বলে ওঠে —
‘শরীরের জ্বালা বড়ই বিষম জ্বালা রে, যার হয় সেই বোঝে! তার ওপর তপনের শরীরের
গন্ধ…’
আমি শিউরে উঠলাম! যেন এক ভাবের জগতে আছি তখন…
চোখ বন্ধ করে যেন কল্পনা করছি দৃশ্যগুলো..”
একটু থেমে সৌদামিনী বলে উঠলেন,
— “আবার এক ভুল করলাম বোন!”
অনির্বাণ চুপ ছিল এতক্ষণ। এইবার সে বলে উঠলো,
— “ভুল হতেই পারে শুধু বুঝতে পারলেই হল। তুমি বলে যাও বড় গিন্নী।”
গলা পরিস্কার করে সৌদামিনী বলে উঠলেন,
— “কিন্তু কিছু ভুল ইচ্ছাকৃতভাবে করতে হয় কত্তাবাবু।”
সিমি আবার বলে উঠলো,
— “ও দিদিয়া প্লিজ কন্টিনিউ!! ওতো বাংলা বুঝিনা!!”
সৌদামিনী ঘোলাটে চোখে বলতে শুরু করলেন,

— “তপন আমাকে প্রকৃত নারী করে তুলেছিল। ওই কদিন রোজ দুবেলা আমরা মিলিত হতাম।
তপনের হাতের ছোঁয়াতে আমার সারা শরীর জেগে উঠতো যেন, ব্যথার তীব্র আবেশে চোখ
ফেটে জল বেরিয়ে আসতো..তবুও কি চরম সুখ এই ব্যথায়….

কিছুদিন পর আমার মধ্যে মাতৃত্বের লক্ষন ফুটে ওঠে। এর কয়েক দিন পর তপনকে তার
দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। নয়মাস পর আমি একটি ফুটফুটে ছেলের জন্ম দিই। বাবুর যখন
দশবছর বয়েস তখন তপন মারা যায়। বাবুকে দিয়েই শেষকৃত্য করানো হয় তার আসল পিতার।”
এই অবধি বলে উনি থামলেন। অনির্বাণ আর সিমি মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো শেষ
কথাগুলো শুনে। সিমি অবাক ভাবে বলে উঠলো,

— “বাবু!! ওনার ছেলের নামও বাবু? আর তুমি তো শেষটা পুরোটাই আমি,আমার করে গেলে!
ওহ্ অ্যাই অ্যাম কনফিউজড! তুমি আগের মতন আর গল্প বানাতে পারো না দিদিয়া!”

এতক্ষন কথা বলার ফলে সৌদামিনী হাঁঁপিয়ে গেছিলেন ফলে কাশি শুরু হয়ে যায়। হাত
নাড়িয়ে ইশারায় সিমিকে থামিয়ে দিয়ে কাশতে কাশতে নিজের ঘরের দিকে যেতে গেলে বাইরে
বসে থাকা সূর্য, যে খেলা বন্ধ করে মায়ের গল্প শুনতে শুরু করেছিলেন, সে লাফ দিয়ে
উঠে আসে আর ওনাকে ধরে ঘরের দিকে নিয়ে যেতে যেতে বলে উঠলেন,
— “মা বিদ্যুৎ বলে আদৌ কেউ ছিলেন কি?”
সৌদামিনী দেবী ওকে থামিয়ে বলে উঠলেন,
— “বাবু যা শুয়ে পর আর ওদেরকেও বল শুয়ে পড়তে।”
সূর্য মাকে ঘরে ঢুকিয়ে বিছানায় শুয়ে দিয়ে বেরোনোর সময় দাঁঁড়িয়ে একটাই কথা
জিজ্ঞেস করলেন তার মাকে,
— “বাবা কি জানতো যে আমি ওনার…..”
পুরো কথা শেষ না করেই চলে গেল সে।
সূর্য বেরিয়ে যাওয়ার পর সৌদামিনী দেবী উঠে আগে দরজাটা ভালো করে আটকালেন। তারপর
একটু জল খেয়ে ধাতস্থ হয়ে সোজা গিয়ে আলমারি খুলে একদম কোনায় লুকিয়ে রাখা একটা
বিবর্ণ হয়ে যাওয়া সাদাকালো ছবি বের করে আনলেন। তার সন্তানের পিতার ছবি সেটি। এক
ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো তোবড়ানো গাল বেয়ে। অস্ফুটে বলে উঠলেন,
— “আজ আমি পেরেছি গো বাবুর বাবা!”
সূর্য ঘরে ডুকে সোজা গিয়ে ঘুমন্ত মনামীকে জড়িয়ে ধরে ভয়ে, রাগে, ঘৃণায়, আবেগে
কেঁদে ফেললেন।
অন‍্য দিকে কিছুক্ষণ পর সীমন্তিনী ঘুমিয়ে পরতেই অনির্বাণ ফোনটা নিয়ে,
— “আজকের জন্য সরি কিন্তু কাল দেখা হচ্ছেই আর আজকের পাওনাগুলো রেডি রেখো!!”
এই মেসেজটা লিখে একটা ‘আনসেভড’ নাম্বারে পাঠিয়ে দিলো, ‘ডেলিভার্ড’ হবার পর
মেসেজটা ডিলিট করে সীমন্তিনীকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।
(সমাপ্ত)
প্রিয় গল্প পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে। 
ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন। ..
Thank You, Visit Again…

Tags – Bangla Golpo, Bengali Story, Boroder Golpo

Share This Article