বউয়ের পরকীয়া – Bouer Porokiya – Bengali Choto Golpo

Bongconnection Original Published
13 Min Read


 বউয়ের পরকীয়া – Bouer Porokiya – Bengali Choto Golpo

বউয়ের পরকীয়া - Bouer Porokiya - Bengali Choto Golpo
Loading...


বউয়ের পরকীয়া

Loading...
 ——————–© গৌতম চক্রবর্ত্তী
আজ এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে তার উপর আবার কোনো অটো পাচ্ছে না যে কটা গেলো সবই
পুরো ভর্তি,ইলা বিরক্ত হচ্ছে নিজেরই উপর,রোজ যতই ভাবে একটু তাড়াতাড়ি বেরোবে
কিন্তু রোজ সেই একই অবস্থা আজ ব্যান্ডেল লোকাল টা মনে হয় না আর পাবে। ঐ একটা
টোটো আসছে হাত দেখিয়ে উঠে গেল আর বলল ট্রেন টা ধরিয়ে দিলে খুব ভালো হয় একটু
চেষ্টা করুন না(অনুরোধের সুরে)টোটো টা যেন আর চলতেই চায় না,দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে
অধৈর্য্যে আরো ধীর গতির মনে হতে লাগলো ইলার,শেষ পর্যন্ত ট্রেন দেরি করার জন্য
ইলা ধরতে পারল গাড়িটা।

ভিড় এর পাস কাটিয়ে কোনমতে নিজের পুরোনো জায়গায় পৌঁছাল,ইলা কখনো মহিলা কামরায়
ওঠে না,প্রথম প্রথম উঠতো তখন ও বুঝে গেছিল মহিলাদের থেকে পুরুষরা অনেকবেশি
সহায়ক।

সমীরকে আজ যেন আরো আধুনিক আরো আকর্ষণীয় লাগছে কাঁচের দরজার বাইরে থেকে ইলা লক্ষ
করল। অফিসে আসা মাত্রই ইলার ডাক পরে সমীর এর ঘরে কিন্তু আজ কি হলো! কদিন
ধরেই ইলা লক্ষ্য করছে সমীর ইলাকে এড়িয়ে
 চলছে কিছু বলতে গেলেও একটা উদাসীন ভাব দেখাচ্ছে। 
রিয়া ইলার সহকর্মী হলেও ইলাকে রিয়া খুব পছন্দ করে,তাই রিয়ার সাথে ইলার ঘনিষ্টতা
বাকিদের থেকে একটু বেশি। রিয়া এসে ইলার কাছ ঘেষে বলল একটা বিশেষ খবর আছে বাইরে
চল বলছি, রিয়া ইলাকে প্রায় হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে গেল।
জানিস কি সমীর বাবু নুতুন এক সহায়ক কর্মী নিয়োগ করেছেন সে আজ থেকে কাজ শুরু
করবে,এখন বিশ্রাম ঘরে বসে আছে দেখে এলাম পরিচয়ও করলাম খুব আধুনিকা আর অহংকারী
মনে হল,যথেষ্ট সুন্দরী আর শিক্ষিতা বলে মনে হল,আমি তো শুনলাম তাকে নাকি সমীর
বাবুর অফিসঘরেই বসবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে,একি…কি হলো তোর ? চুপ করে আছিস, কথা
বলেছিস না কেন ?
ইলার যেন পায়ের নিচ থেকে জমি সরে যাচ্ছে,কানের দু পাস দিয়ে গরম লাভার স্রোত বয়ে
যাচ্ছে একি শুনল ও নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছে না …..

গত দিন দশ আগেই তো সমীর আর ইলা দীঘা থেকে বেড়িয়ে এল এক ঘরে এক বিছানায় দুদিন
তিন রাত কাটালো, কত হাসি কত খুশি কত প্রেম কত স্বপ্নের ভিড় দেখেছিল সমীর এর
মুখে-চোখে তাহলে কি সব মিথ্যে সব অভিনয় !!! 
ইলা ধীরে পায়ে হাটতে হাটতে সমীর এর অফিসঘরে প্রবেশ করল প্রয়োজনীয় কাগজগুলো নিয়ে
বেরিয়ে আসছে এমন সময় সমীর বলল ওগুলো রেখে দাও আমি অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে
নেব,তুমি তোমার টেবিলে গিয়ে বোস এখন আর আমার কাজগুলো তোমার দেখার দরকার
নেই,তুমি তোমার অন্য কাজগুলো করো। ইলা যেন কিছুই বুঝে উঠতে পারল না কেমন একটা
জড় পাদার্থর মত দাঁড়িয়ে রইল,যখন সমীর আবার বলল কি হলো যাও নিজের কাজ কর,তখন
ইলার ঘোর কাটল নিজের চেয়ারে এসে বসল।

ফেসবুক পরকীয়া 

আজ আর ইলার কোনো কাজেই মন নেই , কিছু সময় পরে স্যুট পরা একটি অল্পবয়সী মেয়ে
সমীরের ঘরে ঢুকল, ইলা কাঁচের বাইরে থেকে দেখল মেয়েটি বেশ সুন্দরী মেহেন্দি করা
এলো চুলের দুপাশ কাঁটা দিয়ে আটকান সেই চুলের এক পাশ দিয়ে আগুন রঙা কিছু চুল উপর
থেকে নিচ পর্যন্ত নেমে গেছে যেন কালো মেঘের মধ্যে দিয়ে এক চিলতে সিঁদুরে মেঘ
রেখা টেনে দিয়ে গেছে। ঈর্ষায় ইলার বুকের ভিতর ঝন ঝন আওয়াজ হতে লাগল অনেকগুলো
খালি বাসন একসাথে মেঝেতে পড়েগেলে যেমন হয়। ইলা আর অফিসে বসে থাকতে পারল না ছুটি
নিয়ে বেরিয়ে গেল।
আজ ইলার বার বার ভিকির কথা মনে পড়ছে,ভিকির বয়স এখন সাত বছর ইলা যখনই অফিস থেকে
বাড়ি ফেরে ছেলেটা দৌড়ে এসে মা বলে জড়িয়ে ধরে কিন্তু আজ প্রায় দু বছর হয়েগেল ইলা
অনেকদিন ভিকির জন্য কিছু নিয়ে ফেরেনি,আজ কিছু কিনে নিয়ে যাবে।
ইলা বাড়ি ফেরার পথে ভিকির জন্য একটা খেলনাগাড়ি কিনল । শান্তনু সিগারেট খেতে
ভালোবাসে তাই শান্তনুর জন্য এক প্যাকেট ফিল্টার উইল্স কিনতে কিনতে ইলার মনে
পড়েগেল এই সিগারেট খাওয়া নিয়ে একসময় ইলা কতোই না অশান্তি করেছে কিন্তু বহুদিন
হয়েগেল শান্তনুর সিগারেট খাওয়া অনেক বেড়ে যাওয়া সত্বেও ইলার কোনো যেন নজরেই পড়ত
না,এখন ইলা বুঝতে পারছে আসলে সমীর এর সাথে এতোই ভেসে গেছিল যে স্বামী-সন্তান কে
দুটো প্রাণী ছাড়া আর কিছুই যেন বুঝতে চাইত না। ইলার মনে পড়ছে না শেষ কবে
শান্তনুর সাথে ভালোকরে কথা বলেছে, শান্তনুর ও কোনো বিকার ছিল বলে বোঝা যায়নি
কখনো, অভিযোগ,চাহিদা,আবেদন এগুলো তো অনেকদিন হয়েগেল শান্তনুর মধ্যে পায়নি
ইলা,আজ তাই ইলার মনে হচ্ছে কেন শান্তনু এতো উদাসীন ছিল ! কেন শান্তনু ইলার
প্রতি কোনো অধিকার ফলায় নি, শারীরিক চাহিদা তো দেড় বছর আগেই একবার ইলা বিরক্ত
প্রকাশ করার পর আর কোনোদিন আগ্রহই দেখায়নি, ইলারও অবশ্য এই ব্যাপার নিয়ে কোনো
দিন মনে কোনো প্রশ্ন বা কৌতুহল হয়েছে বলে মনে পড়ছে না, শান্তনু কি তাহলে সব
বুঝতে পেরে গেছিলো ? এইসব হাবিজাবি আজ সব মাথায় ভিড় করে আসছে এইসব চিন্তা করতে
করতে ইলা বাড়ি পৌঁছে গেল।
একি ঘরে তালা দেওয়া ! শান্তনু নিশ্চই ভিকিকে নিয়ে হয়ত বেড়াতে বেরিয়েছে, ইলার
কাছে একটা চাবি সবসময় রাখা থাকত ব্যাগ থেকে বার করে তালা খুলে ঘরে ঢুকল। হাত
মুখ ধুয়ে কাপড় ছেড়ে রান্নাঘরে দেখেনিল তার জন্য খাবার ঢাকা দেয়া আছে, তাহলে কি
ওরা আজ বাইরেই খেয়ে আসবে।
ইলা টেলিভিশন চালিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসল ঠিকই কিন্তু টেলিভিশনে কোনো নজর
ছিলো না।


হটাৎ দরজায় আওয়াজ শুনে ইলা দৌড়ে এসে দরজা খুলে বিস্মিত হয়ে দেখল শান্তনু আর
ভিকি নয় পাশের বাড়ির টিঙ্কু একটা মুখবন্ধ খাম নিয়ে দাঁড়িয়ে সবকটা দাঁত বের করে
হাসতে হাসতে বলল কাকিমা কাকু দুপুর বেলা এই চিঠিটা আমায় দিয়ে বলেছিল কাকিমা
বাড়ি ফিরলে দিয়ে দিবি কিন্তু আর কাউকে দিবি না, এই নাও তোমার চিঠি। ইলা চিঠি
নিয়ে ঘরে এসে একটু তাড়াহুড়ো করে খুলতে গিয়ে খানিকটা ছিঁড়ে ফেলল।


বউয়ের অবৈধ সম্পর্ক

আমি শান্তনু বলছি,
চিঠিতে বলছি এই কারণে যে যখন তুমি এই চিঠি পড়বে তখন আমি ভিকিকে নিয়ে অনেক দূর
পৌঁছে গেছি, সামনে না বলার কারণ আমি কোনো বিতর্ক চাইনি।
রান্নাঘরে তোমার খাবার ঢাকা দেওয়া আছে খেয়ে নিও, আমি বাড়িওয়ালা কে পাঁচ বছরের
ভাড়া আগাম দিয়ে এসেছি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তোমার উপর কোনো চাপ রইল না।

বছর দু এর আগের কথা যখন তুমি মাঝ রাত অবধি সোশ্যাল সাইটে গল্প করতে করতে হাতে
মোবাইল থাকা অবস্থায় একদিন ঘুমিয়ে পড়েছিলে বাথরুম যাবার জন্য আমার ঘুম ভাঙে তো
দেখি তোমার মোবাইল হাতেই রয়ে গেছে আর তোমার মাথাটা বালিশের বাইরে কাত হয়ে
আছে,আমি তোমার মাথাটা আদরের সাথে বালিশে তুলে দিয়ে দুপায়ের মাঝে পাশবালিশ দিয়ে
দিলাম,তোমার হাতের থেকে মোবাইল টা সরিয়ে রাখতে গিয়ে কৌতুহল বশত তোমার ফোনের
বাক্যালাপ খুলে দেখি …”তোমাদের প্রেমালাপ” পুরোটা পড়ার পর আমার মধ্যে কোনো
রাগ বা ঘৃণা হয়নি শুধু একরাশ যন্ত্রনা আর অভিমানে বুক ফেটে যায়। আমি নিঃশব্দে
মোবাইল টা তোমার বালিশের পাশে রেখে শুয়ে পড়ি কিন্তু সারা রাত ঘুমোতে
পারিনি,সিগারেটের পুরো প্যাকেট টা শেষ হবার পরে খেয়াল আসে ভোর সাড়ে চার টা বেজে
গেল।

আমি সেদিন অফিস যাবো বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলাম ঠিকই কিন্তু অফিস যেতে পারিনি,
গঙ্গার পারে গিয়ে ভারাক্রান্ত মনে বসে বসে কখন যেন নিজের অজান্তেই চোখের কোনটা
ভিজে গেছিল।
দুদিন বাদে তুমি খবর দিলে তুমি একটা ভালো চাকরি পেয়েছ খুব ভালই কাজ ভালই
মাইনে।আমি তোমায় বলেছিলাম কি দরকার আমাদের অসুবিধে তো হচ্ছে না তাছাড়াও ভিকিকে
কে দেখবে ? তুমি খুব উৎসাহ নিয়ে আমায় বোঝানোর চেষ্টা করছিলে অনেক টাকা হবে
ভিকিকে ভালো ইস্কুলে পড়াবে মাইনে দিয়ে লোক রেখে দেবে ইত্যাদি ইত্যাদি,আমি
বুঝলাম তুমি উড়ে বেড়াবার স্বাধীনতা চাইছ আমি মনে মনে হাসলাম আর সব বুঝতে
পারলাম।
তুমি চাকরিতে যোগ দিলে বাড়ির জন্যে তোমার সময় কমতে কমতে এক সময় রাত বারোটা
বাজতে লাগলো তোমার বাড়ি ফিরতে ফিরতে, আমি বুঝলাম তোমার বারোটা বেজে গেলো।
তখন তোমায় আর মোবাইল নিয়ে খুব একটা ব্যস্ত আর দেখতাম না।
একদিন তুমি বললে অফিসের কাজে তিন দিন বাইরে যেতে হবে ,আমি কোনো আপত্তি করিনি।
 আমার এক বন্ধুর কাছে খবর পেলাম তুমি ডায়মন্ড হারবার এর এক হোটেলে আছ একজন
লোকের সাথে, আমি হোটেলের ঠিকানা নিয়ে সেখানে তার পাশের ঘরেই একদিনের ভাড়া
নিলাম। তোমরা সারাদিন বাইরে ঘুরে  রাতে এসে হোটেলের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ
করে দিলে।
আমি আর রাত কাটালাম না আমার রুমের ভাড়া মিটিয়ে দিয়েই বাড়ি ফিরে আসলাম । আমার
বাড়ি পৌঁছতে সেদিন ভোর হয়ে গেছিল,দেখি ভিকি ঘুমিয়ে আছে ওকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই
বুকে জড়িয়ে নিয়ে অনেক্ষণ কেঁদেছিলাম খেয়াল ছিলোনা সেই অবস্থাতেই কখন ঘুমিয়ে
গেছিলাম।
তুমি দুদিন বাদে বাড়ি ফিরেছিল, তারপর এরকম প্রায়ই বাইরে যেতে শুরু করলে,সে তো
তুমি জানোই আর নুতুন করে বলার কি আছে ।
আমি অপেক্ষায় ছিলাম তুমি কবে ধাক্কা খেয়ে বাস্তবে ফিরবে, কাল তোমার অফিস থেকে
খবর পেলাম তোমার পরকীয়ায় আজ আঘাত লাগবে।এই খবর শুনে আমি এতটা আনন্দ পেলাম যেন
কোনো অপার্থিব বস্তু পেয়ে গেছি আমার যেন অনন্ত অপেক্ষার অবসান হলো। 


আমি ভিকিকে নিয়ে এই রাজ্য ছেড়ে ভিন্ন রাজ্যে চললাম আমি যা কাজ জানি তাতে যে
কোনো কাজ ঠিক খুঁজে নেবো। 
তুমি ভাবতে পারো আমি কেন বিবাহ বিচ্ছেদের পথে পা বারাইনি ?  ভিকি বড়ো হলেই
এটা জানার আগ্রহ প্রকাশ করবে কেন আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছিল, আমি চাইনা ওর কাছে ওর
মা এর সম্মান নষ্ট হোক । তুমি কেন সাথে নেই সেটা জিজ্ঞাসা করলে আমি কিছু ঠিক
বুঝিয়ে দেবো কিন্তু ওর কাছে তোমাকে ছোট হতে দেব না।
                     
                  ইতি
                     
                 
 শান্তনু।
ইলা দুদিন বাদে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে আসে। 
ইস্তফা দিয়ে যেটুকু টাকা পয়সা পেলো তাই দিয়ে ইলা বুটিক এর কাজ শুরু করে দিলো।
এভাবেই ইলার দিন কাটতে লাগলো ।
এখন ইলার চুলে ভালোই পাঁক ধরেছে, বুটিকের কাজে বেশ ভালোই পসার হয়েছে,জায়গা
জায়গা থেকে ইলার কাছে ডাক আসে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করার জন্য।
একদিন খুব ভোরে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ, দরজা খুলে বাইরে এসে দেখে এক বয়স্ক
ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছে ভোরের আলো ভালো করে না ফোটায় ভদ্রলোকটির মুখ দেখা যাচ্ছে
না ইলা বুঝে উঠতে পারছিল না ভিতরে আসতে বলবে কিনা। এমন সময় লোকটি পাস কাটিয়ে
নিজেই ঘরে ঢুকল, ঘরের আলোয় দেখল শান্তনু দাঁড়িয়ে আছে।
শান্তনুর বয়স দেখে ইলা নিজের বয়সের কথা অনুমান করল । শান্তনুকে অনেক রাশভারী
লাগছে পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠিত পুরুষ মনেহচ্ছে। ইলা যেন বোবা হয়ে দাঁড়িয়ে রইল কিছুই
বলতে পারছে না শুধু ঠোঁট দুটো কাঁপছে। শান্তনু ইলার হাত দুটো ধরে বিছানায় নিজের
কাছে নিয়ে এসে বসাল আর ইলার দু গালে দুটো হাত রেখে বলল তোমার ছেলের তো কাল বিয়ে
সে তো বায়না ধরেছে মাকে নিয়ে না আসলে বিয়ের পিঁড়িতে উঠবে না । এতো কিছু হবার
পরেও কোনদিন ইলা কাঁদেনি শুধু নিজের উপর নিজের ঘৃণা বেড়েছে আজ ইলা আর নিজেকে
সামলাতে পারেনি হাউ হাউ করে সজোরে কেঁদে ফেলল।
শান্তনু ইলাকে বুকে জড়িয়ে নিলো আর একটা বিরাট দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।
ওরা দমদম এয়ারপোর্টের জানালা দিয়ে শেষবারের মত কোলকাতা কে বিদায় জানাল।
————————


Share This Article