Ballavpurer Roopkotha Movie Review
“বল্লভপুরের রূপকথা” একটা ভীষণ ভালো সোজাসাপটা সিনেমা।আজকাল সবাই
সিনেমার মধ্যে দিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মেসেজ টেসেজ দিতে চায়।তাতে মাঝেমাঝে
সিনেমার ভাষা জটিল হয়ে গিয়ে সবার আর বোধগম্য থাকে না।কিন্তু সোজাসাপটা সিনেমা
বানিয়ে দর্শকদের মন জেতা সোজা কাজ নয় নইলে সবাই তাইই করত।আজ থেকে প্রায় ২০ বছর
আগে সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা একটা বাংলা সিনেমা হয় “পাতালঘর” নামে।অমন সিনেমা আর
একটাও দেখলুম না।সে ছিল প্রকৃতঅর্থে আট থেকে আশির সিনেমা।মাইলফলক সেই সিনেমার
পর “বল্লভপুরের রূপকথা” ই আট থেকে আশির কথা ভেবে বানানো হয়েছে বাংলা ভাষায় এ
কথা হলফ করে বলা যায়।এইখানেই এ সিনেমার কৃতিত্ব সবথেকে বেশী।বাংলায় ছোটদের
সিনেমার ক্ষরা ঘোচালো এই সিনেমাটা।অথচ এটা শুধুই ছোটদের সিনেমা নয়।
সিনেমার মধ্যে দিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে মেসেজ টেসেজ দিতে চায়।তাতে মাঝেমাঝে
সিনেমার ভাষা জটিল হয়ে গিয়ে সবার আর বোধগম্য থাকে না।কিন্তু সোজাসাপটা সিনেমা
বানিয়ে দর্শকদের মন জেতা সোজা কাজ নয় নইলে সবাই তাইই করত।আজ থেকে প্রায় ২০ বছর
আগে সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা একটা বাংলা সিনেমা হয় “পাতালঘর” নামে।অমন সিনেমা আর
একটাও দেখলুম না।সে ছিল প্রকৃতঅর্থে আট থেকে আশির সিনেমা।মাইলফলক সেই সিনেমার
পর “বল্লভপুরের রূপকথা” ই আট থেকে আশির কথা ভেবে বানানো হয়েছে বাংলা ভাষায় এ
কথা হলফ করে বলা যায়।এইখানেই এ সিনেমার কৃতিত্ব সবথেকে বেশী।বাংলায় ছোটদের
সিনেমার ক্ষরা ঘোচালো এই সিনেমাটা।অথচ এটা শুধুই ছোটদের সিনেমা নয়।
Ballavpurer Roopkotha Cast
Loading...
Satyam Bhattacharya, Surangana Banerjee, Debraj Bhattacharya, Shayamal Chakraborty,
Kripabindu Chowdhury, Surajit Sarkar
& others.
Kripabindu Chowdhury, Surajit Sarkar
& others.
Director –
Anirban Bhattacharya
Anirban Bhattacharya
অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য একজন enigma.সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরে তিনিই সেই
বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন বাঙালী শিল্পী যার জন্য বাঙালী হাপিত্যেশ করে
বসেছিল।তার পরিচালিত “মন্দার” অনেকের ভালো লাগে নি।তা নাকী dark,cynical!আরে
সে তো শেক্ষপীরের জগৎটাই তাই!তার ওপর কেউ কেউ ফেসবুকে বলছিল “মন্দার” এ এত্ত
যৌনদৃশ্য যে বাচ্চা নিয়ে বসে দেখা যায়না!তারা খামোখা বাচ্চা নিয়ে বসে মন্দার
দেখতে গিয়েছিলেনও কেন কী জানে তবে তাদের মনের দুঃখ “বল্লভপুরের রূপকথা” দেখলে
ঘুচতে বাধ্য।কোলে বাচ্চা নিয়ে হাহা করে হাসতে হাসতে দেখার মত সিনেমা বানিয়েছেন
অনির্বাণ।”মন্দার” আর “বল্লভপুরের রূপকথা” দুই মেরুর দুটো সিনেমা।অনির্বাণের
অভিনয়ের মতোই তার পরিচালনার range টাও বিশাল।আশা করি উনি ধেড়িয়ে যাবেন না
ভবিষ্যৎ এ।
বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন বাঙালী শিল্পী যার জন্য বাঙালী হাপিত্যেশ করে
বসেছিল।তার পরিচালিত “মন্দার” অনেকের ভালো লাগে নি।তা নাকী dark,cynical!আরে
সে তো শেক্ষপীরের জগৎটাই তাই!তার ওপর কেউ কেউ ফেসবুকে বলছিল “মন্দার” এ এত্ত
যৌনদৃশ্য যে বাচ্চা নিয়ে বসে দেখা যায়না!তারা খামোখা বাচ্চা নিয়ে বসে মন্দার
দেখতে গিয়েছিলেনও কেন কী জানে তবে তাদের মনের দুঃখ “বল্লভপুরের রূপকথা” দেখলে
ঘুচতে বাধ্য।কোলে বাচ্চা নিয়ে হাহা করে হাসতে হাসতে দেখার মত সিনেমা বানিয়েছেন
অনির্বাণ।”মন্দার” আর “বল্লভপুরের রূপকথা” দুই মেরুর দুটো সিনেমা।অনির্বাণের
অভিনয়ের মতোই তার পরিচালনার range টাও বিশাল।আশা করি উনি ধেড়িয়ে যাবেন না
ভবিষ্যৎ এ।
বল্লভপুরের রূপকথা মুভি রিভিউ
এই সিনেমার সব ভালো।খুব ভালো টাইট চিত্রনাট্য।সবাই ভীষণ ভালো অভিনয়
করেছেন।গানগুলো খুব সুন্দর।বহুদিন বাদে একটা মেধাবী opening credit দেখলাম
বাংলা সিনেমায়।আসলে গোটা সিনেমাটাতেই ভীষণ যত্নের ছাপ।এই কৃতিত্ব captain of
the ship হিসেবে প্রাপ্য অনির্বাণের।ভীষণ ভালো লাগে এই দেখে যে তিনি এত
সাফল্যের মাঝেও নিজের শেকড়টা ভোলেননি।লোকে থিয়েটারের মঞ্চ ছেড়ে সিনেমা করতে
ছুটছে এদিকে উনি সিনেমা করছেন একটা থিয়েটার নিয়ে।শুধু তাই নয় বারবার করে
থিয়েটারের সুযোগ্য অভিনেতাদের পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ দিচ্ছেন।ওনার জন্য আজ
অনেক মানুষ শ্যামল চক্রবর্তীর মত প্রবাদপ্রতিমের কথা জানতে পারবে।তাছাড়া ওনার
পরিচালনায় থিয়েটার শিক্ষার ছাপ সুস্পষ্ট।এই সিনেমাতেও মায়াবী গা ছমছম ওপেনিং
সিন বা আরও অন্যান্য সিনে থিয়েটারের প্রভাব স্পষ্ট।আশা করি অনির্বাণের বিজয়রথ
এগিয়ে চলবে।নিজের বহুমুখী প্রতিভার প্রতি সবাই সুবিচার করতে পারে না।তার জন্য
নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে এগোতে হয়।বহু আগুনে পুড়ে বহু ঘা খেয়ে নিজেকে তীক্ষ্ণ থেকে
তীক্ষ্ণতর করার লড়াইটা অবিরাম চালিয়ে যেতে হয়।তবেই হয়ে ওঠা যায় iconic.সৌমিত্র
চট্টোপাধ্যায় তা পেরেছিলেন।শূন্য সিংহাসনটা যদি কেউ দখল করতে পারে তবে তা
অনির্বাণই পারবেন।
করেছেন।গানগুলো খুব সুন্দর।বহুদিন বাদে একটা মেধাবী opening credit দেখলাম
বাংলা সিনেমায়।আসলে গোটা সিনেমাটাতেই ভীষণ যত্নের ছাপ।এই কৃতিত্ব captain of
the ship হিসেবে প্রাপ্য অনির্বাণের।ভীষণ ভালো লাগে এই দেখে যে তিনি এত
সাফল্যের মাঝেও নিজের শেকড়টা ভোলেননি।লোকে থিয়েটারের মঞ্চ ছেড়ে সিনেমা করতে
ছুটছে এদিকে উনি সিনেমা করছেন একটা থিয়েটার নিয়ে।শুধু তাই নয় বারবার করে
থিয়েটারের সুযোগ্য অভিনেতাদের পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ দিচ্ছেন।ওনার জন্য আজ
অনেক মানুষ শ্যামল চক্রবর্তীর মত প্রবাদপ্রতিমের কথা জানতে পারবে।তাছাড়া ওনার
পরিচালনায় থিয়েটার শিক্ষার ছাপ সুস্পষ্ট।এই সিনেমাতেও মায়াবী গা ছমছম ওপেনিং
সিন বা আরও অন্যান্য সিনে থিয়েটারের প্রভাব স্পষ্ট।আশা করি অনির্বাণের বিজয়রথ
এগিয়ে চলবে।নিজের বহুমুখী প্রতিভার প্রতি সবাই সুবিচার করতে পারে না।তার জন্য
নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে এগোতে হয়।বহু আগুনে পুড়ে বহু ঘা খেয়ে নিজেকে তীক্ষ্ণ থেকে
তীক্ষ্ণতর করার লড়াইটা অবিরাম চালিয়ে যেতে হয়।তবেই হয়ে ওঠা যায় iconic.সৌমিত্র
চট্টোপাধ্যায় তা পেরেছিলেন।শূন্য সিংহাসনটা যদি কেউ দখল করতে পারে তবে তা
অনির্বাণই পারবেন।
২০ বছর আগে হাতে মোবাইল ছিল না।ফেসবুক ছিল না।নইলে সবাইকে বলতাম “পাতালঘর”
দেখতে।আজ মোবাইলও আছে।ফেসবুকও আছে।তাই সুযোগটা ছাড়লাম না।মনে হল দায়িত্ব নিয়ে
বলি একটা ভালো বাংলা সিনেমা হলে গিয়ে দেখে আসার জন্য।
দেখতে।আজ মোবাইলও আছে।ফেসবুকও আছে।তাই সুযোগটা ছাড়লাম না।মনে হল দায়িত্ব নিয়ে
বলি একটা ভালো বাংলা সিনেমা হলে গিয়ে দেখে আসার জন্য।
আরো পড়ুন,