Bangla Bhuter Golpo – ভূতের গল্প বাংলা – Bangla Horror Story

Bongconnection Original Published
7 Min Read

Bangla Bhuter Golpo – ভূতের গল্প বাংলা – Bangla Horror Story

Bangla Bhuter Golpo - ভূতের গল্প বাংলা - Bangla Horror Story
Loading...

Bangla Bhuter Golpo 

দশটি ভূতের গল্প
 অভিজিৎ রায়
১|   সন্ধ্যার দিকে খাল পারে পুঁটিকে একা পেয়ে  প্রোপোজটা করেই
ফেললো জগা,
‘পুটি আই  লাবিউ ‘
কিছু না বলে শুধু মুখ বেঁকিয়ে চলে গেল পুঁটি।
অপমানিত জগা বিরবির করে বলে ‘ বাব্বা কি দেমাক মেয়ের তাও যদি বুঝতাম মেট্টো রেলে
ঝাপিয়েছিলি, খেয়েছিলিতো পাতি ইদুর মারা বিষ……


২| এক কাপ বাসক পাতার রস নিয়ে গিন্নীকে এগিয়ে আসতে দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন
ভোম্বল বাবু।
মনেমনে গজরাতে লাগলেন সারাটা জীবন চিরতার জল আর সুক্ত খেয়ে খেয়ে জিভে চরা পরে
গেলো ,কতবার ভগবানকে ডেকে বলেছি এবার তুলে নাও ঠাকুর এ অত্যাচার আর সহ্য হয়না। তা
ঠাকুর শুনলোও সেই কথা, সেদিন স্নান করে ভেজা হাতে পাখার সুইচটায় চাপ দিতেই মারণ
ঝটকা খেলাম। 
তখন কি আর জানতাম পিছন থেকে করলার জুস নিয়ে কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছে গিন্নী
😨😨😨😨
৩|  ও মাগো ও বাবা গো বলে ভিরমি  খেয়ে কমলাকে পরে যেতে দেখে মুখ হাড়ি
করে চলে গেল হারু।
কমলার বাবা যেদিন বাড়ি বয়ে এসে পাড়া শুদ্ধ লোকের সামনে অপমান করে গেছিলো, সেদিন
রাতেই হারু চিঠি লিখেছিল কমলাকে।
‘ কমলা মাই লাভ ওরা এ পারে আমাদের এক হতে দিলনা কিন্তু  ও পারে কেউ আমাদের
আলাদা করতে পারবেনা’।
বেচারা তখন কি আর জানতো যার জন্য পুরি থেকে আনা নতুন গামছাটা দিয়ে  সিলিং
ফ্যান থেকে ঝুলে পড়েছিল আজ সেই কমলাই তাকে দেখে ভয়ে ভিরমি খাবে😢😢😢😢😢


৪|  জাম গাছটার তলায় পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসেছেন ঘোষ গিন্নী, ‘ওগো আমার কি
সর্বনাশ হলো গো,ওগো তুমি কেন চলে গেলে গো, আমাকে একা ফেলে কোথায় গেলে গো’। একটু
আগেই হার্টফেল করে হলধর ঘোষের আত্মা এসে বসেছে ঐ জাম গাছের মাথায়। গিন্নীর কান্না
শুনে দুঃখ পাওয়ার বদলে রাগে গজরাতে লাগলেন। ‘ সারাটা জীবন হারমাস জ্বালিয়ে খেলে
এই মহিলা  এখন মরেও শান্তি পেলাম না, কেমন ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদছে দেখ,
বেমালুম ভুলে মেরে দিয়েছে যে এক বছর আগে বাথরুমে আছাড় খেয়ে উনি নিজেই আমার আগে
অক্কা গেছেন। আজ যদি ঐ ভাবে জানলা দিয়ে উঁকি না মারতো তবে আমার হার্টটাও আজ
পারমানেন্টলি স্টপ হত না।
৫|  নিম গাছটার ডালে পা ঝুলিয়ে বসে সাজুগুজু করছিল বুঁচী,এই দিন কয়েক হল সে
আর তার স্বামী  পটল রেল লাইনে একসাথে পটল তুলে এই নিম গাছটায় ডেরা বেঁধেছে ।
মুখে একগাদা পাউডার ঘষে  বুঁচী পটলকে বললো ‘ এই আজ আমায় কেমন লাগছে গো 
দেখতে?’
পটল একবার বুঁচীর দিকে চেয়ে  পা দোলাতে দোলাতে বললো ‘তোমায় আগেও যেমন লাগতো
এখনো তেমনই লাগছে ডার্লিং’,
বঁচী একটু লজ্জা পেয়ে বললো ‘উমা তাই কেমন লাগছে গো?’
উত্তরে পটল শুধু মুচকি হাসলো আর বিরবির করে বললো পেত্নীর মত…….
৬| সদ্য বাথরুমে আছাড় খেয়ে উঠে এলেন হারু মাষ্টার, কোথা থেকে ছুটে এসে ঢিপ করে
পায়ে প্রনাম ঠুকে দিল পল্টু।
“হ্যাপি টিচার্স ডে স্যার “
পল্টুকে দেখেই রাগে দাঁত কিড়মিড়িয়ে উঠলেন হারু মাষ্টার। হতচ্ছাড়া পড়াশোনার নামে
লবডঙ্কা আবার টিচার্স ডে পালন করতে এসেছিস। সে বার কত করে বোঝালাম ওরে পড়াশোনাটা
একটু মন দিয়ে কর, তা কে শোনে কার কথা।
নিজে তো ফেল করে ট্রেন লাইনে গলা দিলিই মাঝখান থেকে আমার তিন মাসের বাকি 
টিউসন ফিজটাও মেরে দিলি😠😠😠😠

Bhuter Golpo Bangla

৭|  পড়াতে পড়াতেই হঠাৎ হরেণ মাষ্টার প্রশ্ন করে বসলেন ‘ বলতো প্যালা মানুষ
মরলে কি হয়?’ প্যালা জবাব দিল ‘ভূত হয় স্যার ‘। উত্তর শুনেই হরেণ মাষ্টারের মুখ
রাগে লাল হয়ে উঠলো,তিনি প্যালার কানটা জোড়সে মুলে দিলেন, ‘হতচ্ছাড়া  বাদর
কোথাকার পড়াশুনা করেও এইসব কুসংস্কারে বিশ্বাস করিস!ভূত বলে কিছু  নেই সব
মানুষের মনের ভুল বুঝলি।’
প্যালা তার লাল হয়ে যাওয়া কানটায় হাত বোলাতে বোলাতে  মনে মনে বললো ‘তা আর
বুঝবোনা, যবে থেকে গাড়ি চাপা পোরেছেন তবে থেকেইতো মাঝরাতে কানমোলা খাচ্ছি।’
৮| ঘোষ বাবু বাথরুম থেকে বেরতেই খিঁচিয়ে উঠলেন ঘোষ গিন্নী, ‘বলি বয়স তো কম
হলনা,এখনো মাঝ রাতে বাথরুম গেলে আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এত কী ভূতের ভয়
তোমার,বলি কোন শাকচুন্নীতে ধরবে এই বয়সে? ‘গামছা দিয়ে হাত পা মুছতে মুছতে মুচকি
হাসেন ঘোষ বাবু।’গিন্নী গত ৪০ বছর ধরে একটা শাকচুন্নীর দিক থেকেই তো চোখ সরাতে
পারলাম না আমায় আর কোন শাকচুন্নী ধরবে?’
একটা লাজুক হাসি খেলে গেলো ঘোষ গিন্নীর ঠোঁটে,মুখে  কপোট রাগ এনে বললেন ‘
বুড়ো বয়সে যত আদিখ্যেতা ‘ তার পরই তার দেহটা আবছা হতে হতে মিশে গেল ঘরের দেয়ালে,
যেখানে মালা ঝোলানো ঘোষ গিন্নীর ছবিটা তখন মিটমিট করে হাসছে।

Bhuter Golpo Bengali

৯| হারু বাবুর বডিটা ভেন্টিলেশনে ঢোকাবার আগেই সিঁড়ি দিয়ে হাসপাতালের ছাদে উঠে
এলেন তিনি।ছাদে তখন মদন বাবু  রেলিং এ পা ঝুলিয়ে দোল খাচ্ছিলেন। তাকে দেখেই
এক গাল হেসে হারু বাবু বললেন ‘কি রে মদনা তুই এখনো যাসনি আমার তো ছুটি হয়ে
গেল,এখন   আই সি ইউ তে ঢোকালো বডিটা, তা আমিতো তার আগেই পটল তুলেছি এই
খবর এলো বলে।ছেলেপুলেদের কান্না  কাটি শুরু হলেই আমার ছুটি। মদনা ফিক করে
হেসে বললো ‘ শরীর থেকে তোর মুক্তি হয়েছে হেরো কিন্তু ভেন্টিলেশন থেকে অত সহজে
মুক্তি নেই রে। এই আমাকেই দেখনা তিন দিন আগে মরে ভূত হয়ে গেছি তবু বডি টাকে
একগাদা তার পেচিয়ে ফেলে রেখে বলছে আমি নাকি এখন কোমায়।শালা জীবনটায় দারি পরে গেল
তবু বডিটাকে কমাতেই ঝুলিয়ে রাখলো ঐ ডাক্তার বাবুরা।
১০| মুখ কাঁচুমাচু করে গিন্নীর মুখঝামটা শুনছিলেন হরিহর বাবু।
“সে দিন কত করে বললাম ওগো টিশার্ট প্যান্ট না পোরে ধুতি পাঞ্জাবীটা পরো, তা বাবুর
কানে গেলনা উনি চললেন কচি খোকোটি সেজে ফটো তুলতে। দেখোতো তোমার পাশে আমায় কেমন
বুড়ি বুড়ি লাগছে।আমাকে বুড়ি না বানালে তো তোমার চলছিল না।
সদ্য বাধিয়ে আনা তাদের যুগল ছবিটায় তখন চন্দনের ফোটা দিচ্ছে হরিহর বাবুর নাতনী।
দিন তিনেক আগে দু জনেই একসাথে বাসে চাপা পরেছিলেন কিনা😨😨
Share This Article