জীবনের ডাইরি – Jiboner Dairy |Bengali Story | সাহিত্যের সেরা সম্ভার

Bongconnection Original Published
3 Min Read
বাংলা অনুপ্রেরণার গল্প - জীবনের ডাইরি
Loading...
বিশেষ এডিশন

অনলাইনে আসার পরেই যার ম্যাসেজের
রিপ্লাইটা সবার আগে দেওয়া হতো।
এক ঘন্টা যার সাথে ম্যাসেজিং না
করলে মনের ভেতর চিনচিন ব্যাথা করতো।
যার ম্যাসেজের রিপ্লাই পেতে এক
মিনিট দেরি হলে, চোখে জল টলমটল করতো।
:
:
কোন এক কারণে, একটা সময় তার
সাথে ম্যাসেজিং বন্ধ হয়ে যায়। এক
ঘন্টা থেকে দশ ঘন্টা, দশ ঘন্টা থেকে
চব্বিশ ঘন্টা, তারপর এক দিন, এক সপ্তাহ,
একমাস, এভাবে ঐ আইডির ম্যাসেজ গুলা
ধীরে ধীরে পিছনের দিকে চলে যায়
আচ্ছা ম্যাসেজিং পিছনে চলে
যাওয়ার পর ঐ মানুষটাও কী মন থেকে
পিছনের দিকে চলে যায়??
:
:
দুজনের কোন একজন, প্রতি মিনিটে,
প্রতি ঘন্টায়, প্রতি সপ্তাহে, ওপাড়ে
থাকা মানুষকে ম্যাসেজ পাঠানোর জন্য
ইনবক্সে অনেক কথা লেখে, কিন্তু শেষ
পর্যন্ত কোন এক অজানা কারণে
ম্যাসেজ গুলা আর সেন্ড করা হয় না
হঠাৎ কোন এক রাতে যখন বুকের বাম
পাশে প্রচন্ড ব্যাথা হয়, তখন একটা
ম্যাসেজ পাঠিয়ে খুব জানতে ইচ্ছা করে
ওপাড়ে থাকা মানুষটা কেমন আছে?
কিন্তু একটু পরেই মনে হয়, না থাক, ওতো
আমাকে ছাড়া ভালই আছে। তাহলে আমি
পারব না কেন?
সময়ের পরিবর্তনে, সবকিছু অতীত হয়ে
যায়। মনের ডাইরির মলাটে ধূলো জমে
যায়।
আচ্ছা সময়ের পরিবর্তনের সাথে
সাথে কী দুইজন দুজনকে ভুলে যায়?
:


:
কোন এক রিমঝিম বৃষ্টির দুপুরে, অথবা
গোধূলীর বিকেলে, অথবা কোন এক
জ্যোৎস্নাময় রাতে।
দুইজনের কোন
একজনের মনে পরে যায়,অতীতের ফেলা
আসা স্মৃতি, একা একাই খুলতে শুরু করে
ধূলো পরা মনের ডাইরির পৃষ্ঠা।
মনের
অজান্তেই চোখের মাঝে অশ্রু জমা হয়,
টপটপ করতে চোখ দিতে অশ্রু ঝড়তে
থাকে। এই অশ্রু কখনো কেউ দেখতে পায়
না, রিমঝিম বৃষ্টির মাঝে হারিয়ে যায়
অশ্রু গুলো, গোধূলীর বিকেলের উড়তে
থাকা ধূলোয় বিলীন হয়ে যায় অশ্রু গুলো,
জ্যোৎস্নাময় রাতে শুয়ে থাকা
বালিশের একটা কোণা ভিজে যায়, চোখ
থেকে গড়িয়ে পরা ঐ অশ্রুতে
এপাড়ে থাকা মানুষটা যখন, ওপাড়ের
মানুষের জন্য চোখের অশ্রু বিসর্জন দেয়,
তখন ওপাড়ের থাকা মানুষটা রিমঝিম
বৃষ্টিতে, বৃষ্টির ছড়া, গোধূলীর বিকেলে,
রক্তিম সূর্যের বর্ণনা, জ্যোৎস্নাময়
রাতে, চাঁদের সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে
বর্ণনা করে তার নতুন কোন সঙ্গীকে
ম্যাসেজ পাঠাতে ব্যস্ত থাকে। তার মনেই
থাকে না এপাড়ে থেকে অশ্রু বিসর্জন
দেওয়া মানুষটার কথা
:
:
এইতো জীবন নামক একটা ডাইরির
বেদনাময় অধ্যায়। এভাবেই উল্টোতে
থাকবে জীবন ডাইরির প্রতিটা পাতা,
প্রতিটা অধ্যায়। সময়ের পরিবর্তনে শেষ
হয়ে যাবে ডাইরির পৃষ্ঠা,শেষ হয়ে
যাবে ডাইরির সব অধ্যায়।
শেষ হওয়া
ডাইরিতে আস্তে আস্তে ধূলো জমতে
থাকবে। হঠাৎ একদিন এই ডাইরির
অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।

             ” থাকলে কাছে
              কে আর বোঝে??
               হারিয়ে গেলে
                সবাই খোঁজে”…….

         
                      ……………..

আরও পড়ুন ,


      নীল আকাশের চাঁদনী – ভালেনটান্স ডে স্পেশাল গল্প

সৌভাগ্যবতী

অনুভূতির শেষপ্রান্তে

Share This Article