ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণী – ভূগোল Class 10

Bongconnection Original Published
21 Min Read

ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণী – ভূগোল Class 10 

ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণী - ভূগোল Class 10
Loading...

দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর 

বায়ুমণ্ডল
1. বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?
উঃ ভুপৃষ্ঠ থেকে ক্রমশ ওপরের দিকে যে গ্যাসীয় আবরণ পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে
তাকেই বলে বায়ুমণ্ডল।


2. বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলি কী কী?
উঃ বায়ুমণ্ডল হল গ্যাসীয় ও অ-গ্যাসীয় পদার্থের যৌগিক মিশ্রণ।
গ্যাসীয় উপাদানগুলি হল- নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, হাইড্রোজেন
ও বিভিন্ন নিষ্ক্রিয় গ্যাস, যেমন- হিলিয়াম, নিয়ন, ক্রিপ্টন, জেনন প্রভৃতি।
অ-গ্যাসীয় উপাদানগুলি হল- জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা, লবণকণা ও অতিক্ষুদ্র জৈবকণা।
3. বায়ুমণ্ডলে শতকরা কত ভাগ নাইট্রোজেন থাকে?
উঃ ৭৮.০৮৪ ভাগ।
4. বায়ুমণ্ডলে শতকরা কত ভাগ অক্সিজেন থাকে?
উঃ ২০.৯৪৬ ভাগ।
5. বায়ুমণ্ডলে শতকরা কতভাগ কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে?
উঃ ০.০৩ শতাংশ।
6. বায়ুমণ্ডলে শতকরা কতভাগ আর্গন থাকে?
উঃ ০.৯৩ শতাংশ।
7. বায়ুমণ্ডলে প্রধান গ্যাসীয় উপাদানটির নাম কী?
উঃ নাইট্রোজেন।
8. ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্বসীমার নাম কী?
উঃ ট্রপোপজ।
9. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা হ্রাস পায়?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমণ্ডলে।
10. ক্ষুব্ধমণ্ডল কাকে বলে?

উঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত অঞ্চলে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে
তাপমাত্রার পার্থক্য দেখা যায়। ফলে এই অঞ্চলে ঝড়-ঝঞ্ঝা-বৃষ্টিপাত ইত্যাদি দেখা
যায়। এই অঞ্চলকে ট্রপোস্ফিয়ার বা ক্ষুব্ধমণ্ডল বলে।

11. এরোসল কী?
উঃ এরোসল হল ক্ষুদ্রাকৃতি কঠিন কণা (সিলিকেট কণা, লবণ কণা প্রভৃতি) যাকে
কেন্দ্র করে জলবিন্দুর সৃষ্টি হয়।
12. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরের মধ্যে মেঘ, ঝড়-ঝঞ্ঝা ইত্যাদি সৃষ্টি হয়?
উঃ ট্রপোস্ফিয়ারে।
13. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরকে, কেন শান্তমণ্ডল বলে?
উঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার-কে। এই স্তরে আবহাওয়া শান্ত থাকার জন্য এই স্তরকে
শান্তমণ্ডল বলে।
14. রাসায়নিক গঠন অনুসারে বায়ুমণ্ডলকে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?
উঃ দুই ভাগে। হোমোস্ফিয়ার ও হেটরোস্ফিয়ার।
15. ট্রপোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুর যে স্তর আছে তার নাম কী?
উঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
16. ওজোন গ্যাসের স্তর কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উঃ স্ট্রাটোস্ফিয়ার–এ।
17. বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে সুমেরু ও কুমেরু প্রভা দেখা যায়?
উঃ আয়নোস্ফিয়ার-এ।
18. স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুর যে স্তর আছে তার নাম কী?
উঃ মেসোস্ফিয়ার।
19. মেসোস্ফিয়ারের ওপরে বায়ুর যে স্তর আছে তার নাম কী?
উঃ থার্মোস্ফিয়ার।
20. মেরু অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের বিস্তৃতি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত?
উঃ ৬-৮ কিমি।

দশম শ্রেণীর ভূগোল এর উত্তর

Loading...
21. গ্যাসীয় উপাদান ছাড়া বায়ুমণ্ডলের অপর একটি উল্লেখযোগ্য উপাদানের নাম কর।
উঃ ধূলিকণা।
22. বায়ুমণ্ডলের সর্বশেষ স্তরের নাম কী?
উঃ এক্সোস্ফিয়ার।
23. বায়ুমণ্ডল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত?
উঃ ওপরের দিকে প্রায় ১০,০০০ কিমি।
24. কে কবে প্রথম কোথায় ওজোন ছিদ্র আবিষ্কার করেন?
উঃ ১৯৮৫ সালে জে. সি. ফারমেন ও তার সহকর্মীরা, আন্টার্কটিকায়।
25. ইন্সোলেশান বা সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীতে সকল শক্তির মূল উৎস সূর্য। সূর্য থেকে যে আলোক রশ্মি ক্ষুদ্র
তরঙ্গরূপে পৃথিবীতে পৌঁছায় তাকে ইন্সোলেশান বা সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বলে।
26. অ্যালবেডো কী?
উঃ পৃথিবীতে আগত সূর্যরশ্মির পরিমাণকে ১০০ শতাং ধরা হয়। এর মধ্যা ৩৪ শতাংশ
রশ্মি ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডল থেকে বিচ্ছুরিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যায়। এই ৩৪ শতাংশ
রশ্মিকে অ্যালবেডো বলে।
27. পরিবহন কাকে বলে?
উঃ কোনও অনুগুলির মধ্য দিয়ে খুব ধীর গতিতে তাপের যে সঞ্চালন ঘটে তাকে পরিবহন
বলে।
28. পরিচলন কাকে বলে?
উঃ ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী স্তরে বায়ু বেশি উষ্ণ হয়, ফলে প্রসারিত হয় এবং ঘনত্ব
কমে যায়, যার দরুণ ঊর্ধ্বমুখে গমন করে। ফলে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের শীতল বায়ু ওই
স্থান দখল করে এবং পুনরায় উত্তপ্ত হয়ে উপরে উঠে যায়। বায়ুর এই উল্লম্ব প্রবাহকে
পরিচলন বলে।
29. অ্যাডভেকশন কী?
উঃ উষ্ণ বায়ুর অনুভূমিক প্রবাহকে অ্যাডভেকশন বলে।
30. কাকে, কেন Radiation Window বলে?
উঃ বায়ুমণ্ডলের নিম্ন অংশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পাঁচ কিমি উচ্চতা পর্যন্ত
জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্য থাকে। ফলে এই অংশে বিকিরণ কম হয়। তার
চেয়ে অধিক উচ্চতায় সৌর বিকিরণ বৃদ্ধি পায়। এই কারণেই পর্বতগুলিকে Radiation
Window বলে।
31. রুদ্ধতাপ উত্তাপন প্রক্রিয়া কাকে বলে?
উঃ ভূপৃষ্ঠে বায়ুচাপ সর্বোচ্চ, যতই উচ্চে ওঠা যায় বায়ুচাপ ততই হ্রাস পেতে থাকে।
ফলে বায়ুর আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং বায়ুর অণুগুলির মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পায় এবং
Thermodynamics-4 –এর সূত্রানুসারে বায়ুটি ক্রমশ শীতল হয়। একে রুদ্ধ তাপ
শীতলীকরণ প্রক্রিয়া বলে। অপরপক্ষে বায়ু যখন নীচে নেমে আসে তখন তাপমাত্রা ওই একই
কারণে বৃদ্ধি পায় যাকে ‘রুদ্ধতাপ উত্তাপন প্রক্রিয়া (adiabatic heating) বলে।
32. তাপ পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কী?
উঃ ক্যালোরিমিটার।
33. তাপমাত্রা পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কী?
উঃ থার্মোমিটার।
34. স্বাভাবিক উষ্ণতা হ্রাসের হার কাকে বলে?
উঃ বায়ুমণ্ডলের ট্রপোস্ফিয়ার অঞ্চলে প্রতি ১ কিমি উচ্চতা বৃদ্ধিতে উষ্ণতা ৬.৪oC
হারে হ্রাস পায়। একে স্বাভাবিক উষ্ণতা হ্রাসের হার বলে।
35. বৈপরীত্য তাপমাত্রা বলতে কী বোঝ?
উঃ সাধারণভাবে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। তবে কখনও কখনও উচ্চতা
বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা হ্রাস না পেয়ে বৃদ্ধিও পেতে দেখা যায়। একেই ঋণাত্মক উষ্ণতা
হ্রাসের হার বা বৈপরীত্য উষ্ণতা বলে।
36. তাপীয় নিয়ন্ত্রক কাকে বলে?
উঃ সমুদ্রস্রোত উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই
একে উষ্ণতা নিয়ন্ত্রক বলা হয়।
37. স্বাভাবিক উদ্ভিদ কাকে বলে?
উঃ প্রকৃতিতে স্বাভাবিকভাবে (মানুষের সাহায্য ছাড়া) যে উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে তাকে
স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলে।
38. সমোষ্ণরেখা কাকে বলে?
উঃ ভূ-পৃষ্ঠের সম উষ্ণতাযুক্ত স্থানগুলিকে একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত
করলে তাকে সমোষ্ণরেখা বলে।
39. গ্রিনহাউস কী?
উঃ শীত প্রধান দেশে যেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে সেখানে এক প্রকার
কাঁচের ঘর নির্মাণ করে চারা গাছ রাখা হয়, এই ঘরকে গ্রিনহাউস বলা হয়।


40. গ্রিনহাউস এফেক্ট কাকে বলে?
উঃ শীত প্রধান দেশে যেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে সেখানে এক প্রকার
কাঁচের ঘর নির্মাণ করে চারা গাছ রাখা হয়, এই ঘরকে গ্রিনহাউস বলা হয়। এই ঘরের
বিশেষত্ব এই যে সূর্য রশ্মি ক্ষুদ্র তরঙ্গ রূপে কাঁচের ঘরে প্রবেশ করে ওই ঘরকে
উত্তপ্ত করে। কিন্তু প্রতিফলির রশ্মি দীর্ঘ তরঙ্গ বিশিষ্ট রশ্মিতে পরিণত হয়ে
কাঁচের আবরণ ভেদ করে ওই ঘরের বাইরে যেতে পারে না, ফলে পুনঃপ্রতিফলনের দরুণ ওই
ঘরটি উত্তপ্ত হওয়ায়, ঘরের ভিতরের উদ্ভিদ সবুজ (green) থাকে। এই ঘটনাকে
গ্রিনহাউস এফেক্ট বলা হয়।
41. গ্রিনহাউস গ্যাস কোনগুলি?
উঃ পৃথিবীতে প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাসটি হল কার্বন ডাই অক্সাইড। এছাড়াও কার্বন
মনোক্সাইড, মিথেন, সালফার ডাই অক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন (CFC) প্রভৃতি
গ্রিনহাউস গ্যাসের উদাহরণ।
42. El Nino শব্দের অর্থ কী?
উঃ শিশু খ্রীষ্ট।
43. এল নিনো কাকে বলে?
উঃ ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে পেরুরু পশ্চিম উপকূল দিয়ে কয়েক বছর ছাড়া (২-৭) যে
উষ্ণস্রোত প্রবাহিত হয় তাকে এল নিনো বলে।
44. বায়ুচাপ কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে প্রতি বর্গমিটার স্থানের ওপর বায়ু
তার নিজের ওজন জনিত যে চাপ প্রয়োগ করে তাকে বায়ুচাপ বলে।
45. প্রমাণ চাপ কাকে বলে?
উঃ সমুদ্রপৃষ্ঠে ৪৫ ডিগ্রি অক্ষাংশে ০ (শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় বায়ু যে
চাপ (৭৬ সেমি উঁচু পারদ স্তম্ভের চাপ) দেয় তাকে প্রমাণ চাপ বলে।
46. বায়ুচাপের পরিমাপের যন্ত্র কী?
উঃ ব্যারোমিটার।
47. কে কবে টরিসেলি ব্যারোমিটার আবিষ্কার করে?
উঃ ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দে বিজ্ঞানী টরিসেলি।
48. কে কবে ফর্টিন্স ব্যারোমিটার আবিষ্কার করে?
উঃ ১৮০০ খ্রীষ্টাব্দে নিকোলাস ফর্টিন।
49. ভার্নিয়ার স্কেল কী?
উঃ সূক্ষ্মতম দৈর্ঘ্য মাপার জন্য ১৬৩১ খ্রীষ্টাব্দে ফরাসী গণিতবিদ্ পি
ভার্নিয়ার যে স্কেল আবিষ্কার তার নাম ভার্নিয়ার স্কেল।
50. কোন ব্যারোমিটারে পারদ ব্যবহার করা হয় না?
উঃ অ্যানিরয়েড ব্যারোমিটারে।
51. সমপ্রেস বা সমচাপ রেখা কাকে বলে?
উঃ ভূপৃষ্ঠের ওপর সমান বায়ুচাপ বিশিষ্ট স্থানগুলিকে কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত
করে মানচিত্রে উপস্থাপন করলে তাকে সমপ্রেস বা সমচাপ রেখা বলে।
52. বায়ুচাপের ঢাল কাকে বলে?
উঃ দুটি সমচাপ রেখার মধ্যে সমকোণে উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রতি একক
দূরত্বে বায়ুচাপের যে পার্থক্য ঘতে তাকে বায়ুচাপের ঢাল বলে।
53. আন্তঃক্রান্তীয় মিলন অঞ্চল কাকে বলে?
উঃ উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ে মিলিত হয়। এই
মিলনস্থলকে আন্তঃক্রান্তীয় মিলন অঞ্চল বা Intertropical Convergence Zone
(ITCZ) বলে।
54. অশ্ব অক্ষাংশ কাকে বলে?
উঃ আটলান্টিক মহাসাগরের ওপরে অবস্থিত কর্কটীয় উচ্চচাপবলয়ে (২৫o-৩৫o উত্তর
অক্ষাংশ) অনুভূমিক বায়ু প্রবাহ প্রায় হয় না বললেই চলে। প্রাচীনকালে বণিকেরা
পালতোলা জাহাজে করে এই অঞ্চলে এসে উপস্থিত হলে অনুভূমিক বায়ুপ্রবাহের অভাবে
জাহাজ থেমে যেত। তাই তারা জাহাজ হালকা করার জন্য সমুদ্রে কিছু ঘোড়া নিক্ষেপ
করত। এই কারণে এই অক্ষাংশকে অশ্ব অক্ষাংশ বলে।
55. সুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় ও কুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় কাকে বলে?
উঃ উত্তর গোলার্ধে ৬০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৬৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের
মধ্যে অবস্থিত নিম্নচাপ বলয়কে সুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয় বলা হয়।
অন্যদিকে দক্ষিণ গোলার্ধে ৬০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে ৬৫ ডিগ্রি দক্ষিণ
অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত নিম্নচাপ বলয়কে কুমেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপ বলয়
বলে।
56. বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে?
উঃ ভূপৃষ্ঠের ওপর বায়ু যখন অনুভূমিকভাবে চলাচল করে তখন তাকে বায়ুপ্রবাহ বলে।
57. নিয়ত বায়ু কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ যে বায়ু সারা বৎসর নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট পথে প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু
প্রবাহ বলে।
নিয়ত বায়ুপ্রবাহ তিনপ্রকার। যথা- আয়ন বায়ু, পশ্চিমাবায়ু, ও মেরু বায়ু।

দশম শ্রেণী ভূগোল

58. আয়ন বায়ুকে বাণিজ্য বায়ু বলা যায় কেন?
উঃ উত্তর গোলার্ধে উত্তর-পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন
বায়ুর অনুভূমিক প্রবাহের দরুন আগেকার দিনের বণিকরা খুবই উপকৃত হত। কারণ, বায়ুর
অনুভূমিক প্রবাহ পালতোলা জাহাজের যাতায়াতে সহায়তা করত। তাই আয়ন বায়ুকে বাণিজ্য
বায়ু বলা হয়।
59. গর্জনশীল চল্লিশা কী?
উঃ দক্ষিণ গোলার্ধে অধিক জলভাগের অবস্থান থাকায় বায়ু বিনা বাধায় ভীষণ শব্দ করে
তীব্রগতিতে প্রবাহিত হয়। তাই ৪০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশে ইহা ‘গর্জনশীল
চল্লিশা’; ৫০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশে এটি ‘ভয়ঙ্কর পঞ্চাশিয়া’, ও ৬০ ডিগ্রি
দক্ষিণ অক্ষাংশে ইহা ‘চিৎকারী ষাট’ নামে পরিচিত।
60. মেরু বায়ু কাকে বলে?
উঃ মেরু দেশীয় উচ্চচাপ বলয় হতে যে বায়ু মেরু বৃত্ত প্রদেশীয় নিম্নচাপের দিকে
প্রবাহিত হয় তাকে মেরু বায়ু বলে।
61. সাময়িক বায়ু কাকে বলে?
উঃ দিনের বিভিন্ন সময়ে বা বৎসরের বিভিন্ন ঋতুতে সাময়িকভাবে যে বায়ু প্রবাহিত হয়
তাকে সাময়িক বায়ু বলে।যেমন স্থল বায়ু, সমুদ্র বায়ু, মৌসুমি বায়ু ইত্যাদি।
62. স্থল বায়ু কাকে বলে? এই বায়ু কখন প্রবাহিত হয়?
উঃ স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে স্থল বায়ু বলে।
মধ্যরাত্রি ও ভরবেলায় এই বায়ু প্রবাহিত হয়।
63. সমুদ্র বায়ু কাকে বলে?
উঃ সমুদ্র থেকে স্থল ভাগের দিকে সাময়িকভাবে এই বায়ু প্রবাহিত হয় তাই একে সমুদ্র
বায়ু বলে।
64. অ্যানাবেটিক বায়ু কাকে বলে?
উঃ দিনের বেলায় অতিরিক্ত উত্তাপ পর্বতের উপরিভাগে নিম্নচাপের সৃষ্টি করে। এর
ফলে উপত্যকা অঞ্চলে শীতল বায়ু নিম্নচাপের আকর্ষণে ধীরে ধীরে উপরে উঠে যায় একে
অ্যানাবেটিক বায়ু বলে।
65. ক্যাটাবেটিক বায়ু কাকে বলে?
উঃ পার্বত্য অঞ্চলে শীতল ভারি বায়ু অনেক সময় পর্বতের ঢাল বেয়ে উপত্যকায় নেমে
আসে। এই প্রকার বায়ুকে ক্যাটাবেটিক বায়ু বলে।
66. স্থানীয় বায়ু কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ স্থান ভেদে প্রবাহিত বায়ুকে স্থানীয় বায়ু বলে। এই বায়ু দুই প্রকার। যথা –
উষ্ণ বায়ু ও শীতল বায়ু।
67. কোন বায়ুকে কেন তুষার ভক্ষক বায়ু বলে?
উঃ চিনুক একপ্রকার উষ্ণ ও শুষ্ক প্রকৃতির বায়ু। উত্তর আমেরিকার রকি পার্বত্য
অঞ্চলের পশ্চিম ঢালে দেখা যায়। এই বায়ু বরফকে গলিয়ে দেয় বলে একে ‘তুষার ভক্ষক’
বলে।
68. বোরা কী?
উঃ অ্যাডিয়াট্রিক সমুদ্র উপকুল অঞ্চলে প্রবাহিত শীতল ও শুষ্ক বায়ুকে বোরা বলে।
69. ব্লিজার্ড কী?
উঃ রকি পর্বতের পুর্বদিকে বৃহৎ সমভূমিতে মাঝে মাঝে অতি শীতল ও তীব্র তুষার ঝড়
হয়। একে ব্লিজার্ড বলে।
70. আকস্মিক বায়ু কাকে বলে?
উঃ আকস্মিকভাবে খুব জোরে ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে
আকস্মিক বায়ু বলে।
71. ঘূর্ণবাত কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ ভূপৃষ্ঠের কোনো স্বল্প পরিসর যুক্ত স্থানে হঠাৎ করে যদি উষনতা বৃদ্ধি পায়
তবে বায়ুচাপ আকস্মিকভাবে খুব কমে যায়। এর ফলে পার্শ্ববর্তী উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে
অপেক্ষকৃত শীতল বাতাস ওই শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ঘূর্ণির আকারে ছুটে
আসে। এটা উত্তপ্ত হয়ে উপরে ঘূর্ণির আকার ধারণ করে। এরূপ কেন্দ্রগামী ঊর্ধ্বগামী
বায়ুকে ঘূর্ণবাত বলে।
72. ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত এর পার্থক্যগুলি উল্লেখ করো।
উঃ ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত এর পার্থক্যগুলি হল-
১) ঘূর্ণবাত ক্রান্তীয় অঞ্চলের উষ্ণ সমুদ্রের উপর সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে প্রতীপ ঘূর্ণবাত উচ্চ অক্ষাংশের শীতল বায়ুপুঞ্জ অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
২) ঘূর্ণবাতে কেন্দ্রে নিম্নচাপ ও বাইরে উচ্চচাপ থাকে।
অপরদিকে প্রতীও ঘূর্ণবাতে কেন্দ্রে উচ্চচাপ ও বাইরে নিম্নচাপ থাকে।
৩) ঘূর্ণবাত সাধারণত দুই-তিন দিন স্থায়ী থাকে।
অপরদিকে প্রতীপ ঘূর্ণবাত একই স্থানে অনেকদিন অবস্থান করে।
৪) ঘূর্ণবাতে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়।
অপরদিকে প্রতীপ ঘূর্ণবাতে আবহাওয়া শান্ত অ নির্মল থাকে।
৫) ঘূর্ণবাতে কেন্দ্রের বায়ু ঊর্ধ্বগামী হয়।
অপরদিকে প্রতীপ ঘুর্ণবাতে কেন্দ্রের বায়ু নিম্নগামী হয়।
৬) ঘূর্ণবাতে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
অপরদিকে প্রতীপ ঘূর্ণবাতে ক্ষতির সম্ভাববা কম।
73. কোন মেঘে মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটায়?
উঃ নিম্বাস মেঘ।
74. ঘূর্ণবাতের চক্ষু ও চক্ষু দেওয়াল কাকে বলে?
উঃঘূর্ণবাতের কেন্দ্র থেকে ২০ কিমি ব্যাস পর্যন্ত অংশকে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলে।
এবং চক্ষুর বাইরের অংশে ১০ থেকে ১৫ কিমি পর্যন্ত অংশকে চক্ষু-দেওয়াল বলে।
75. জেটবায়ু কী?
উঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯-১২ কিমি পর্যন্ত উচ্চতায় যে শক্তিশালী বায়ু প্রবাহিত হয় তার
নাম জেট বায়ু।
76. জলচক্র কাকে বলে? জলচক্রের উপাদানগুলি কী কী?
উঃ বারিমণ্ডল, বায়ুমণ্ডল এবং শিলামণ্ডলের মধ্যে জলের কঠিন, তরল গ্যাসীয় বা
বায়বীয় অবস্থার সমন্বয়ে যে আবর্তন তাকেই জলচক্র বলে। জলচক্রের তিনটি উপাদান।
এগুলি হল – বাষ্পীভবন, ঘনীভবন এবং অধঃক্ষেপন।
77. বাষ্পীভবন কাকে বলে?
উঃ সৌররশ্মির তাপীয় ফলের প্রভাবে সাগর, মহাসাগর, নদী, খাল, বিল, জলাশয়ের জল
বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশ্রিত হয়।যে প্রক্রিয়ায় জল বাষ্পে পরিণত হয় তাকে
বাষ্পীভবন বলে।
78. বায়ুর আর্দ্রতা কাকে বলে?
উঃ বায়ুতে অন্যান্য গ্যাসের তুলনায় কিছু পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে। বায়ুর এই
প্রকার জলীয় বাষ্পের ধারণ ক্ষমতাকেই বায়ুর আর্দ্রতা বলে।
79. আর্দ্র বায়ু কাকে বলে?
উঃ বায়ুতে যদি জলীয় বাষ্পের পরিমাণ (৬০ শতাংশের) বেশি থাকে তখন তাকে আর্দ্র
বায়ু বলে।
80. শুষ্ক বায়ু কাকে বলে?
উঃ বায়ুতে যদি জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে তখন তাকে শুষ্ক বায়ু বলে।
81. আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে?
উঃ কোনো নির্দিষ্ট উষনতায় এবং নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে প্রকৃত জলীয় বাষ্পের
পরিমাণ এবং ওই বায়ুকে ওই একই উষ্ণতায় সম্পৃক্ত করতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্পের
প্রয়োজন সেই দুইয়ের অনুপাতকে বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে।

দশম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন 

82. নিরপেক্ষ বা চরম আর্দ্রতা কাকে বলে?
উঃ একটি নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণকে নিরপেক্ষ বা চরম
আর্দ্রতা বলে।
83. নির্দিষ্ট বা বিশেষ আর্দ্রতা কাকে বলে?
উঃ নির্দিষ্ট ওজনের বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের মোট ওজনকে নির্দিষ্ট বা বিশেষ
আর্দ্রতা বলে।
84. সম্পৃক্ত ও অম্পৃক্ত বায়ু কাকে বলে?
উঃ কোনো নির্দিষত উষনতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুর সর্বোচ্চ যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প
ধারণক্ষমতা আছে, যদি ওই বায়ুতে সেই পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাহলে তাকে সম্পৃক্ত
বায়ু বলে।
যদি কোনো বায়ুতে তার সর্বোচ্চ জলীয় বাষ্প ধারনক্ষমতা অপেক্ষা কম জলীয় বাষ্প
থাকে তাহলে তাকে সম্পৃক্ত বায়ু বলে।
85. শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?
উঃ যে বিশেষ তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত অবস্থায় পৌঁছায় যেই তাপমাত্রাকে
শিশিরাঙ্ক বলে।
86. বায়ুর আর্দ্রতা পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কী?
উঃ হাইগ্রোমিটার।
87. বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কী?
উঃ সাইক্লোমিটার।
88. ঘনীভবন কাকে বলে?
উঃ বায়ুর উষ্ণতা শিশিরাঙ্ক উষনতার নীচে নেমে গেলে ঐ বায়ুর জলীয় বাষ্প ধারণ
ক্ষমতাও হ্রাস পায়। তখন ঐ বায়ুর অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প, জলকণা অথবা বরফ কণায়
রূপান্তরিত হবে। এভাবে জলীয় বাষ্প থেকে জলকণায় এবং বরফ কণায় রূপান্তরের
প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলে।
89. শিশির কাকে বলে?
উঃ যখন ভূপৃষ্ঠের উপরিস্থিত কোনো শীতল বস্তু যথা ঘাস, পাতা ইত্যাদির ওপর জলীয়
বাষ্প ঘনীভূত হয় তখন তাকে শিশির বলে।
90. কুয়াশা কাকে বলে?
উঃ শীতকালে সাধারণত দীর্ঘ রাত্রিতে ভূপৃষ্ঠ তাপ বিকরণ করে ভোর রাত্রে অধিক শীতল
হলে ভুপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর শীতল হয়ে শিশিরাঙ্কে পৌঁছালে বায়ুর জলীয় বাষ্প
বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণা প্রভৃতিকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয়ে ভূমি সংলগ্ন
নিম্নবায়ুস্তরে ভাসতে থাকে। একেই কুয়াশা বলে।
91. ধোঁয়াশা কাকে বলে?
উঃ সাধারণত শহরাঞ্চলে ধূলিকণা ও কলকারখান থেকে নির্গত প্রচুর ধোঁয়া ঘন কুয়াশার
সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে ধূসর বর্ণের এক বিশেষ কুয়াশার সৃষ্টি হয় একে ধোঁয়াশা বলে।
92. মেঘ কাকে বলে?
উঃ জলকণা ও বরফকণার সমষ্টিকে মেঘ বলে।
93. অধঃক্ষেপন কাকে বলে? কয় প্রকার ও কী কী?
উঃ বায়ুমণ্ডলের জলীয় বাষ্প ঘনীভবন প্রক্তিয়ায় কঠিন বা তরল অবস্থা প্রাপ্ত হয়।
মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে ওই কঠিন বা তরল পদার্থ ভুপৃষ্ঠে পতিত হলে তাকে
অধঃক্ষেপন বলে।
94. পরিচলন বৃষ্টিপাত কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর যে সমস্ত স্থানে জলভাগের অবস্থান অপেক্ষাকৃত বেশি এবং সৌররশ্মি অধিক
পরিমাণে পাওয়া যায় সেখানে দিনের বেলায় অত্যধিক উষ্ণতার ফলে বায়ু উষ্ণ হয়ে উপরে
ওঠে যায় এবং ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। পুনরায় শীতল হয়ে নেমে আসে, এইভাবে
পরিচলন বৃষ্টি হয়।
95. শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত কাকে বলে?
উঃ শৈল কথার অর্থ পর্বত, অর্থাৎ জলীয় বাষ্প পূর্ণ বাতাস পর্বতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে
যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে।
96. বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল কাকে বলে?
উঃ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস পর্বত অনুবাত ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর
যখন অনুবাত ঢালে পৌঁছায় তখন তাতে জলীয় বাষ্প প্রায় থাকে না তাই বৃষ্টিপাত হয়
না। এই কারণে অনুবাত ঢালকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।
97. কোথায় পৃথিবীর সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়?
উঃ মেঘালয়ের মৌসিনরামে।
98. ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত কাকে বলে?
উঃ পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশ অঞ্চলে অথবা অন্য কোনো স্থানে যখন নিম্নচাপের সৃষ্টি
হয় তখন চারদিক থেকে উচ্চচাপ অঞ্চলের ভিন্ন তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাযুক্ত বায়ু
নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। ফলে উষ্ণ বায়ু হালকা হওয়ায় শীতল বায়ুর
ওপর দিয়ে উপরে উঠে যায় এবং ঘনীভুত হয়ে বৃষ্টিপাত সৃষ্টি হয়। একে ঘূর্ণবাত
বৃষ্টিপাত বলে।
99. তুষারপাত কাকে বলে?
উঃ অধঃক্ষেপণের দরুণ বরফকণা যখন নীচে নামতে থাকে তখন বায়ুস্তরের তাপমাত্রা যদি
ঋণাত্মক হয় তখন বরফ তাপে পরিণত হতে পারে না। ফলে কঠিন রূপে পতিত হয়। একেই
তুষারপাত বলে।
100. শিলাবৃষ্টি কাকে বলে?
উঃ অনেক সময় ঊর্ধ্বাকাশে জলীয় বাষ্প ঘনীভুত হয়ে জলকণা বা তুষার কণায় পরিণত হয়,
সেগুলি পরস্পর মিলিত হয়ে বৃহৎ তুষার কণায় পরিণত হয়, তা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির
প্রভাবে নীচে পতিত হলে তাকে শিলাবৃষ্টি বলে।
101. শ্লিট কী?
উঃ বৃষ্টির ফোঁটা নীচে পতিত হবার সময় কখনও কখনও অতি শীতল বায়ুর স্তর ভেদ করে।
তখন অধিক শীতলতার প্রভাবে বৃষ্টির ফোঁটা বরফকণায় পরিণত হয়ে নীচে পতিত হয়। একে
শ্লিট বলে।
102. বৃষ্টিপাত পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কী?
উঃ রেইন গেজ।
Also read,
Tags –
Geography, Bhugol,
Madhyamik

Share This Article