Durgapuja Kobita 2023 – দূর্গাপূজার কবিতা – Durga Puja Poem In Bengali

Bongconnection Original Published
6 Min Read


 Durgapuja Kobita 2023 – দূর্গাপূজার কবিতা – Durga Puja Poem In
Bengali

Durgapuja Kobita 2023 - দূর্গাপূজার কবিতা - Durga Puja Poem In Bengali
Loading...

Durgapuja Kobita In Bengali

বছর ঘুরে আবার চলে এলো বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দূর্গাপূজা । আর Durgapuja মানেই
প্রতিটি বাঙালির কাছে যেন আলাদাই এক আবেগ । পাঁচদিন শুধু ঘোরাঘুরি, আনন্দ, আর
খাওয়া দাওয়া । সেই সাথে অবশ্যই পূজো পরিক্রমা ।
বাঙালি মাত্রেই কবিতাপ্রেমী আর বাঙালির প্রতিটি উৎসবকে ঘিরেই রয়েছে কবিতা । তাই
দূর্গাপূজা উপলক্ষে আগমনীর সুরের সাথেই আপনার জন্য রইলো আমাদের বিশেষ কবিতা….


Durgapuja Kobita 2023

Loading...
 আগমনী
      – ঝুলন চন্দন মন্ডল
আশ্বিনের এই দিনগুলিতে মনটা গাইতে চায়,
যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেণ সংস্থিতা 
নমঃস্তসৈ নমঃস্তসৈ নমঃস্তসৈ নম নমহঃ।
মা আসছেন বাপের বাড়ি 
প্রকৃতিও করছে স্বাগতম,
আমরাও হাতে হাত মিলিয়ে 
করছি তারই আয়োজন।
সময়টা এখন যাচ্ছে কঠিন,
তাও করছেন আশীর্বাদ মা;
শিউলি ফুলেরা গাছে গাছে ফুটে, 
জানাচ্ছে এসো এসো উমা।
কাশবনে দোলা লাগে 
যেন হাসছে খিল খিল,
আকাশ মেঘের কোলাকুলিতে 
প্রকৃতি করছে ঝিলমিল।
মায়ের আগমনের দিন 
গুনছি সারাক্ষণ,
পুজোটা এবার কাটবে ভালো 
করছে সবাই আনন্দ প্রতিক্ষণ।
সবাই যেন ভালো থাকে
সুস্থ থাকে পরিবেশ,
দুর্গা মা তো আসবেন প্রতিবছর
এই  কামনার নেই শেষ।
আবার সবাই এক হবে 
বেজে উঠবে কাঁসর ঘন্টা,
ঢাকের কাঠিতে ঘা পরলেই 
নেচে ওঠে মনটা।
নতুন জামা নতুন সাজে 
সেজে উঠবে লোকালয়,
একসাথে সব উঠবে বলে 
জয় দুর্গা মাইকি জয়।। 
Durgapuja Kobita 2023 - দূর্গাপূজার কবিতা - Durga Puja Poem In Bengali


Short Poem On Durga Puja In Bengali


  মা আসছে
      -চৈতালী দত্ত 
শিশিরস্নাত শিউলি সুবাস 
ঘাসের কানে কানে জানিয়ে দেয়-
মা আসছে।
ছন্নছাড়া হাওয়ায় দুলে  সন্ধ্যার কাশ 
বৃষ্টিকে জাপটে ধরে জানিয়ে দেয়- 
মা আসছে।
শুভ্র মেঘ, কিশোরীর দুরন্ত ওড়না হয়ে
 আকাশের ওষ্ঠে চুম্বন এঁকে জানিয়ে দেয় –
মা আসছে।

Agomoni Kobita In Bengali

Durgapuja Kobita 2023 - দূর্গাপূজার কবিতা - Durga Puja Poem In Bengali

মা দুর্গার আগমনী কবিতা
         –
সৌমকান্তি 
দেবী তোমার আগমনের ..
প্রস্তুতি তাই ,
মহেশ তোমায় দিলেন বিদায় ..
মহিষাসুরের নিধন করে ,
চলেই এসো পিত্রালয় …
দেবী তুমি আসবে বলে
শিশিরবিন্দু ঘাসে ,
মাঠে মাঠে শোভা বাড়ায় ,
শুভ্রবরণ কাশে …
দেবী তোমার আগমনে …
খুশি সবার মন ,
মহালয়ার প্রতীক্ষাতে
মগ্ন ত্রিভূবন !
মা দুর্গা দশভূজা …
আসবে সপরিবারে !
ছুটির দিনে দেখব তোমায়
মণ্ডপে বারে বারে !
তোমার অরূপ রূপের
মহিমা করব অবলোকন …
বলপ্রদায়িনী মা গো আমায়
অভয় করো নিবেদন !
মহিষাসুরের সমাপন করে …
করেছ তমসা দূর !
আনন্দে মাতে এই ধরাধাম
বাজে আগমনী সুর !
বিঘ্নহর্তা , দেবসেনাপতি
গনেশ আর কার্তিক …
তোমার দুই পুত্রকে এনো
মনে থাকে যেন ঠিক …
আর দুই গুণবতী কন্যা
যারা রূপে আর গুণে অনন্যা ,
লক্ষ্মী আর সরস্বতী ..
বাড়াবে তোমার দ্যুতি !
বাহনগুলি ও সঙ্গে এনো ,
মনে থাকে মাগো যেন !
ওরা ছাড়া তোমার পূজা
পূর্ণ কি হয় কখনো !

Also read


Durga Puja Wises 2023 – Durga Puja Wishes, SMS, Quotes In Bengali

Durga Puja Kobita by Rabindranath

আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি,
পূজার সময় এল কাছে।
মধু বিধু দুই ভাই            
ছুটাছুটি করে তাই,
আনন্দে দু-হাত তুলি নাচে।
পিতা বসি ছিল দ্বারে,        
দুজনে শুধালো তারে,
“কী পোশাক আনিয়াছ কিনে।’
পিতা কহে, ” আছে আছে  তোদের মায়ের কাছে,       
      
কাঁদিয়া কহিল,”চাহি না মা,
রায়বাবুদের গুপি পেয়েছে জরির টুপি,
ফুলকাটা সাটিনের জামা।’
মা কহিল, “মধু, ছি ছি,কেন কাঁদ মিছামিছি,
গরিব যে তোমাদের বাপ।
এবার হয় নি ধান, কত গেছে লোকসান,
পেয়েছেন কত দুঃখতাপ।
তবু দেখো বহু ক্লেশে তোমাদের ভালোবেসে
সাধ্যমত এনেছেন কিনে।
সে জিনিস অনাদরে ফেলিলি ধূলির ‘পরে–
এই শিক্ষা হল এতদিনে।’
বিধু বলে,”এ কাপড় পছন্দ হয়েছে মোর,
এই জামা পরাস আমারে।’

পূজার সাজ কবিতা

মধু শুনে আরো রেগে        
ঘর ছেড়ে দ্রুতবেগে
গেল রায়বাবুদের দ্বারে।
সেথা মেলা লোক জড়ো, রায়বাবু ব্যস্ত বড়ো;
দালান সাজাতে গেছে রাত।
মধু যবে এক কোণে দাঁড়াইল ম্লান মনে
চোখে তাঁর পড়িল হঠাৎ।
কাছে ডাকি স্নেহভরে কহেন করুণ স্বরে
তারে দুই বাহুতে বাঁধিয়া,
“কী রে মধু, হয়েছে কী। তোরে যে শুক্‌নো দেখি।’
শুনি মধু উঠিল কাঁদিয়া,
কহিল, “আমার তরে বাবা আনিয়াছে ঘরে
শুধু এক ছিটের কাপড়।’
শুনি রায়মহাশয় হাসিয়া মধুরে কয়,
“সেজন্য ভাবনা কিবা তোর।’
ছেলেরে ডাকিয়া চুপি কহিলেন, “ওরে গুপি,
তোর জামা দে তুই মধুকে।’
গুপির সে জামা পেয়ে মধু ঘরে যায় ধেয়ে
হাসি আর নাহি ধরে মুখে।
বুক ফুলাইয়া চলে — সবারে ডাকিয়া বলে,
“দেখো কাকা! দেখো চেয়ে মামা!
ওই আমাদের বিধু ছিট পরিয়াছে শুধু,
মোর গায়ে সাটিনের জামা।’
মা শুনি কহেন আসি লাজে অশ্রুজলে ভাসি
কপালে করিয়া করাঘাত,
“হই দুঃখী হই দীন কাহারো রাখি না ঋণ,
কারো কাছে পাতি নাই হাত।
তুমি আমাদেরই ছেলে ভিক্ষা লয়ে অবহেলে
অহংকার কর ধেয়ে ধেয়ে!
ছেঁড়া ধুতি আপনার ঢের বেশি দাম তার
ভিক্ষা-করা সাটিনের চেয়ে।
আয় বিধু, আয় বুকে, চুমো খাই চাঁদমুখে,
তোর সাজ সব চেয়ে ভালো।
দরিদ্র ছেলের দেহে দরিদ্র বাপের স্নেহে
ছিটের জামাটি করে আলো।’
Also read, 
 

Share This Article