গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ৫ – Bangla Choto Golpo – সিরিজ উপন্যাস

Bongconnection Original Published
4 Min Read


 গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী – পর্ব ৫ – Bangla Choto Golpo – সিরিজ
উপন্যাস

গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী - পর্ব ৫ - Bangla Choto Golpo - সিরিজ উপন্যাস
Loading...

গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী 

Loading...
গোপন পরকীয়া
-শুভঙ্কর সাউ
কুহেলীর নতুন খেলা শুরু হলো।বেরিয়ে এলো আর এক অন্য মুখোশ।তার প্রথম শিকার হলো
এক বড় মাপের ব্যবসায়ীর সোনায় মোড়া ছেল।কুহেলী তাকে রূপ সৌন্দর্যের টোপ ফেলে
ছিপে তুললো।ছেলেটাও বিবাহিত।কিন্তু,কুহেলীর মোহে আচ্ছন্ন হয়ে অর্থের বিনিময়ে সে
ভোগ করতে লাগলো কুহেলীকে।তবে,সে ভোগ দখল বেশিদিন স্থায়ী হলো না।কারন সেতো
জানতোনা,কুহেলী ছিপ না,জাল ফেলেছে
তাকে চারিদিক দিয়ে ঘেরে ধরবার।
অনেকটা সিনেমার গল্পের মত একই সূত্রকে কাজে লাগিয়ে কুহেলী তাদের ঘনিষ্ঠ
মুহুর্তের ছবি নিয়ে রেখে সে ছেলেটা কে ব্ল্যাকমেলিং করতে লাগলো।আর টাকা
রোজগারের এই পন্থাকে মুঠোস্ত করতে

শিখে নেওয়ার সাথে সাথেই তার ফাঁদে পা গলাতে ভুল করলো একের পর এক।লুঠের পয়সায়
ক্রমেই বৃহৎ হতে লাগলো কুহেলীর ইমারত।
নীলাঞ্জনের ওপর থেকে কুহেলীর অশুভ প্রকোপ সরে যেতে নীলাঞ্জনও আবার অতীত ভুলে
পুনরায় আগের ছন্দে ফিরে আসছিলো একটু একটু করে।অর্থাৎ,ঘরে বিজলিকে স্বর্গ সুখে
সম্মোহিত রেখে


বাইরে তার চালু হয়েছিলো পরকীয়া প্রেম লীলা।

গৃহবধূর পরকীয়া গল্প 


একদিন রাতে নীলাঞ্জন তখন বাড়ি ফিরলো প্রায় একটার কাছাকাছি সময়ে।আদ্যপ্রান্ত তার
গা দিয়ে মদের গন্ধ বইছে।চোখে মুখে একরাশ আবছায়ার ঘন অন্ধকার।পা
দাঁড়াচ্ছেনা।বিজলি ঘুমিয়ে পড়ে ছিলো।সে রুমের মধ্যে ঢুকতেই বিজলির নিদ্রাভঙ্গ
হলো।বিজলি স্বামীকে নেশায় মত্ত দেখেও কিছু না বলে তার একটা সিগনেচারের প্রয়োজন
ছিলো সেটা
সে রাতেই করিয়ে নিলো।নীলাঞ্জন কখনও পেপারের লেখা না পড়ে সই করেনা।সেদিন এতটাই
বেঘোরে ছিলো যে কীসে সই করছে ওসব আর না দেখেশুনে কোনো মতে সাইন করে দিয়ে শয্যায়
ঢলে পড়লো।

কীসে সাইন করেছিলো,সেটার টের সে দিন দুয়েক পর পেলো।এবং যে ঝটকাটা তার লেগেছিলো
সেটা মেনে নেওয়ার ক্ষমতা তার কোনোভাবেই ছিলোনা।সেদিন রাতের ওই ঘটনার দুদিন পর
বিজলি,উকিল আর সঙ্গে করে আর একজন যাকে নিয়ে এলো সে যুবককে নীলাঞ্জনের ভালোভাবে
চেনা।অহন।যার থেকে একদিন সে কুহেলীকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলো,এ সেই অহন।আর
লইয়ারের কাছে যে কাগজপত্র ছিলো সেসব ছিলো নীলাঞ্জনের নিজের

সিগনেচার করা সমস্ত সম্পত্তির দলিল।ফ্রড করেছে বিজলি তার সাথে।এতবড় জালিয়াতি
বিজলি তার সাথে করেছে যে নীলাঞ্জন ঘুনাক্ষরেও সেটার টের পায়নি একবারের জন্য।সে
ভাবতো সে নিজে ভীষন চালাক।কিন্তু,মাঝখান থেকে অহন যে এমন একটা খেলা খেলে বেরিয়ে
যাবে তা আন্দাজও করতে সে পারেনি।সে সেই মুহুর্তে মেজাজ হারিয়ে বিজলিকে-

পরকীয়ার কাহিনী 

-‘বিচ্.. তুই এতবড় মতলবী ছিলি..।’ 
..বলে তার গলা টিপতে উদ্যত হলো।অহন পাশেই ছিলো।সে এক ল্যাঙে নীলাঞ্জনকে মাটিতে
শুইয়ে দিয়ে দিয়ে-
-‘ইউ আর এ ব্লাডি ডগ।তোর জায়গা এখন ওখানেই।কারো সর্বনাশ করার আগে এক বার ভাবার
দরকার ছিলো।’

বিজলিকে নীলাঞ্জনের কাছে পাঠানো ছিলো অহনের মাস্টারপ্ল্যান।কারন-বিজলি অহনের
জীবনে একবার বড় ক্ষতি করতে চেয়েছিলো,একই কলেজে পড়বার সময়।আর তাই হয়তো তাকে
জীবনে নানা বিপর্জয় মাথায় নিয়ে বাঁচতে হচ্ছিলো।কারন-অপরাধ কারো পিছু
ছাড়েনা।নিয়তি হিসেব লিখে রাখে।তাই বিজলি যখন অহনের কাছে প্রায়শ্চিত্ত করতে
এসেছিলো।অহনও তাকে কাজে লাগায়।কারন-যে কলঙ্ক তার কলেজে পড়বার সময় গায়ে
লেগেছিলো,সেটাকে মুছতে তো পারা যাবেনা।অতএব,প্রতিশোধ দুদিক

দিয়েই নেওয়া হয়ে যাওয়ার পথ খুলে যাবে এমনটা পরিকল্পনা করে অহন।বিজলিকে বিবি
বানিয়ে সে গোলামকে বরবাদ করলো।ইটস কল রিভেঞ্জ। ‘লেকিন, পিকচার আভি বাকি হ্যা
মেরে দোস্ত।’ 
শেষ বলে যে কিছু হয়না।

Share This Article