একটি শীতের সকাল কবিতা – Ekti Shiter Sokal Kobita

Bongconnection Original Published
3 Min Read


 একটি শীতের সকাল কবিতা – Ekti Shiter Sokal Kobita

একটি শীতের সকাল কবিতা - Ekti Shiter Sokal Kobita
Loading...


শীতের সকালের কবিতা

Loading...


শীতের হিম কাব্য
চেনা শীত চার পাশে !
জলের ভারি শরীরে শীত এসে কাঁপাচ্ছে হিম
হিম জলাশয়ে মাছরাঙা রা ঠোঁট বুলালে
তারও উর্বর ঠোঁট শক্ত হয়ে যায় !
শক্ত হয়ে যায় পানকৌড়ির কুমারিত্বের কৃষ্ণ পালক,
ধানের বেড়ে উঠার গতি ও বাড়ান্ত শিশুর হামাগুড়ি,
থমকে যায় কিছু সময়,
শিশিরের কৃত্রিম চোখ ফেটে
বেরোয় এক ঝাঁক রোদ
নবীন রোদে প্রকাশিত হয় হিমায়িত সকাল,
বিস্তর ধানের শরীরে দমকা হাওয়ারা নাচে,
নাচে আঘোন মাসের ঘ্রান,
সবখানে চেনা হিঁয়ালি বাতাস. হিঁয়ালি কম্পন
ঘাঁসঘরে জমে থাকে লোকজ বরফ,
চলার পথে নাগরিক হাওয়াসমুহ
উসকো খুসকো দেহে বসিয়েছে শর্টকাট আমেজ
সময়ের আবর্তে ঘুরে ফিরে এসেছে
হেমন্তের পরের জিবন

শীতের ছোট কবিতা


        একটি শীতের সকাল
হে প্রিয় বাংলাদেশ তোমারি মত
একটি শীতের সকাল,
আধো খোজে পেলাম না কোথাও !

শীতের সকালে শিশিরে বেজা দুর্বাঘাসে ঝিক মিক ফোঁটা ফোঁটা শিশির কনা
যেনো এক একটি মুক্তা দানা,

বিধাতার এক সুন্দর অপরূপ সৃষ্টি
পলকেই কাড়ে মন টলটলে দৃষ্টি,

শীতের শিশিরে আলতো ছোঁয়ায়
বনে বনে ফুটেছে নাম অজানা
হাজারও রঙের ফুল,,

একটি ফুল আছে আমার চেনা জানা
নাম তার রক্তজবা,

তাই দেখে প্রজাপতি হয়েছে বেকুল,
পাখিরা ডেকেছে কুহু কুহু…
দোয়েল দিচ্ছে শিষ,

শীতের চাদর ছেড়ে চলে এসো সখি
দুজন মিলে দেখি বিধাতার এই অপরূপ সৃষ্টি,

ক্ষনিখ পরে পুর্ব গগনে উটবে রবি হেসে
কৃষক- কৃষাণ ছুটবে মাঠে ঘাটে,

রাখাল বাঁজাবে বাঁশি সেই চেনা সুরে,
চারদিকে কর্ম ব্যাস্ত মানুষগোলোর, যাওয়ার
পড়েযাবে হুলস্তূল,
শিশির ভেজা শীতের সকালটা হয়ে যাবে বিলীন.



জীবনানন্দের শীতের কবিতা



শীতরাত
          – জীবনানন্দ দাশ
এই সব শীতের রাতে 
আমার হৃদয়ে মৃত্যু আসে;
বাইরে হয়তো শিশির ঝরছে,
কিংবা পাতা,
কিংবা প্যাঁচার গান; সেও
শিশিরের মতো, হলুদ পাতার মতো।
শহর ও গ্রামের দূর মোহনায়
সিংহের হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে –
সার্কাসের ব্যথিত সিংহের।
এদিকে কোকিল ডাকছে – পউষের মধ্য রাতে;
কোনো-একদিন বসন্ত আসবে বলে?
কোনো-একদিন বসন্ত ছিলো,
তারই পিপাসিত প্রচার?
তুমি স্থবির কোকিল নও? 
কত কোকিলকে স্থবির হয়ে যেতে দেখেছি,
তারা কিশোর নয়,
কিশোরী নয় আর;
কোকিলের গান ব্যবহৃত হয়ে গেছে।
সিংহ হুঙ্কার করে উঠছে,
সার্কাসের ব্যথিত সিংহ,
স্থবির সিংহ এক – আফিমের
সিংহ – অন্ধ – অন্ধকার।
চারদিককার আবছায়া-সমুদ্রের
ভিতর জীবনকে স্মরণ করতে গিয়ে
মৃত মাছের পুচ্ছের শৈবালে,
অন্ধকার জলে, কুয়াশার পঞ্জরে
হারিয়ে যায় সব।
সিংহ অরন্যকে পাবে না আর
পাবে না আর
পাবে না আর
কোকিলের গান
বিবর্ণ এঞ্জিনের মত খশে খশে
চুম্বক পাহাড়ে নিস্তব্ধ।
হে পৃথিবী,
হে বিপাশামদির নাগপাশ, – 
তুমি পাশ ফিরে শোও,
কোনোদিন কিছু খুঁজে পাবে না আর।

Share This Article