রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী – Bengali Love Story

Bongconnection Original Published
7 Min Read


 রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী – Bengali Love Story

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী - Bengali Love Story
Loading...

রোমান্টিক ভালবাসার গল্প

Loading...
– অনুশ্রী সাহা 
সাধারণত আমার দ্বারা স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রেমের গল্প লেখা হয়ে ওঠে না। হয়তো এটা
হেমন্ত। তবু কেন জানি না, কেমন বসন্তের হাওয়া মনে প্রেমের ভাব জাগিয়ে তুলছে।
তাই লেখার চেষ্টা করছি একটা। একটু বড় হয়ে গেল। ধৈর্য ধরে পড়বেন।  

*                   
                     
*                   
                 *   
  

❤ ভালো থাক আমার গল্পের চরিত্র রা❤
-তুই এলি কেন? না এলেই তো পারতিস?

– এই শোন! সারাদিনের অনেক ধকলের পর শুধু তোরই কথায় এসেছি কিন্তু। আর রাস্তায়
জ্যাম থাকলে আমি কী করব রে? সবসময় রাগ দেখাবি না ভালো লাগে না। 

– তা লাগবে কেন! শ্রীতমা হলে তো বসে বসে রাগ ভাঙাতিস।
– আরে! She is just my friend. এখানে ও কোথা থেকে চলে এলো? আশ্চর্য তো!
– কেমন just friend জানতে আমার বাকি নেই। রাত জেগে whats app এ মেসেজ। ফোন কল।
আমি কিছু বুঝি না ভেবেছিস? 
– এই শোন! একদম ফালতু কথা বলবি না। কাজ থাকে। তাই বলি। আর তুই এটাও জানিস, she
is my group partner. 
– Life partner ও বানাবি ক’দিন পর। তখন আমাকে এসে বলবি, লাবণ্য! ব্যপারটা ঠিক
work out করছে না বুঝলি। we are over. 
– এই যা তো। সত্যিই আমি আর পারছি না। I am done.  Break up  করলাম
তোর সাথে। আমি একাই থাকবো। ভালো থাকব। 
– সেই তো রে! এখন তো এটাই বলবি। আমাকে একাই তো করে দিবি। আমি আর তোর কে বল?
– হ্যাঁ! কেউ নোস তুই আমার। উড়ে এসে জুড়ে বসা একটা আপদ। Bye. যোগাযোগ করার
চেষ্টা করিস না আর। 
জুতো মশমশিয়ে নদীর ধার থেকে উঠে চলে গেল ধ্রুব। আর লাবণ্য বসে রইল একা। মনে
অভিমানের মেঘটা বেশ ভালোই ঘনীভূত হয়েছে। বৃষ্টিটাও নামল বলে। 


ওদের সম্পর্ক টা প্রায় ৬ বছরের। নতুন প্রেমের সেই রোজকার আবেগ মাখা গন্ধ টা আজ
অতীত। তবে মাঝে মাঝে যে মরা নদীতে বৃষ্টির দাপটে জোয়ার আসে না তা কিন্তু নয়।
তবে সম্পর্কটা এখন অনেকটাই হয়ে উঠেছে নির্ভরশীলতার, ভরসার আর অভ্যাসের। তবে
ভালোবাসাটা যে খুবই গভীর। তাই হারিয়ে ফেলার ভয়টাও মারাত্মক। আর আজকাল রোজ
নিয়ম করে ফোন বা চ্যাট বা নদীর পাড়টাতে বসে উদ্দাম হওয়া হয় না। নিয়ম করে
বলাও হয় না,”ভালোবাসি” শব্দটি। আর হাজার ছেলে আর মেয়ে বন্ধুর ভীড়ে
Insecurity টা বেশ ভালোই কাজ করে। তাই এবারের ঝামেলা শ্রীতমাকে নিয়ে। 

সেরা ভালোবাসার গল্প

আর মেয়েটাও কেমন যেন গায়ে পড়া। লাবণ্যর সামনেও ধ্রুবর গায়ে ঢলে ঢলে পড়বে।
সারারাত ধরে কী যে এতো গল্প কে জানে! ধ্রুবটারও যেন ওরই দিকে বেশি ঝোঁক। লাবণ্য
ভাবে,” আমি ঐ শ্রীতমার থেকে দেখতে ভালো। ঐ তো কেমন ভাঁটাপানা চোখ। যেন গিলতে
আসে। কেমন ঢঙ করে কথা বলে দ্যাখো! ময়দা তো ঠেসে ঠেসে মেখেছে মুখে। আমার
ধ্রুবটাকে ভালো পেয়ে আমার থেকে কেড়ে নিচ্ছে। মানব না আমি এসব।”

 
এভাবেই ঝগড়া আর অভিমানের পরদ বাড়তে বাড়তে শেষে ওরা বিচ্ছেদকেই সাক্ষী মানল।
রাতের পর রাত জেগে এখন দুজনেই অপেক্ষা করে একটা মেসেজ বা ফোন কলের। তবু
কেউ  রাগ ভাঙবে না। “আমিই কেন রাগ ভাঙাবো? ও তো ভাঙাতে পারে। ভালো লাগে
না”, এইভেবেই দিন যাবে। ভাঙবে তবু মচকাবে না। এইভাবে শহরের দুই প্রান্তে জেগে
থাকে দুজোড়া নির্ঘুম চোখ, মোবাইল স্ক্রিণে পুরোনো স্মৃতিদের আবাহনে। আজকাল
ধ্রুবরও যেন মন লাগে না আর। শ্রীতমার সাথেও কথা বলতে মন লাগে না আর। 


রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প

একদিন হঠাৎ বেজে উঠল লাবণ্যর দরজার ঘন্টি। দরজা খুলেই অবাক লাবণ্য। ধ্রুব
এতোসকালে, সাতদিন পর? কী ব্যপার? ” ঘরে চল কথা আছে” বলে ধ্রুবই তাকে ঠেলে ঘরের
ভিতর ঢুকে পড়ল। “বল কী বলবি?” লাবণ্য রাগত গলায় জিজ্ঞাসা করে। ধ্রুব বলে
ওঠে,” তুই রাগ কমাবি না কী বল? সবসময় শ্রীতমা শ্রীতমা আর শ্রীতমা। কে ঐ
শ্রীতমা। এক কথা বলে কানের পোকা নাড়িয়ে দিস? ঢঙ করবি না একদম। ভালো করে কথা
বলবি কিনা বল। আমার মাথা কিন্তু গরম হয়ে যাচ্ছে।” অভিমানী লাবণ্য বলে ওঠে,”
কেন শ্রীতমা পাত্তা দেয়নি বুঝি? সাত দিনেই সব গুটিয়ে গেল? আমি তো একটা আপদ।
এসেছিস কেন আমার কাছে!” ধ্রুব লাবণ্যর মুখটা নিজের মুখের কাছে এনে একটা আঙুল
দিয়ে ওর ঠোঁট চেপে ধরে ফিসফিসিয়ে বলল,” চুপ! একদম চুপ। তুই আমার কী জানিস না
তুই? তুই আমার পাগলি। যতই স্বর্গের অপ্সরা নেমে আসুক মর্ত্যে, যতই তাদের রূপে
মুগ্ধ হই। তবু আমার শেষ আশ্রয় যে তুই ক্ষেপি। হ্যাঁ হতে পারে তোকে প্যাঁচার
মতো দেখতে কিন্তু তুই শুধু আমার। আর আমি তোর। বুঝলি! রাগ দ্যাখাচ্ছে। মেরে
নাকটা ফাটিয়ে দেব।” কাঁদো কাঁদো প্রায় লাবণ্য ধ্রুবর বুকে ঘুঁষি মারতে মারতে
বাচ্ছাদের মত হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল। ধ্রুব তাকে জাপটে জড়িয়ে ধরে বলল,”
ওলেবাবালে। বকেছি আমার ক্ষেপিটাকে! আচ্ছা এসো আদর করে দিই।” আদর খেতে খেতে
অশ্রু ভেজা চোখে মুখ তুলে চেয়ে লাবণ্য বলল,” আমাকে ছেড়ে কখনও যাবি না তো?”
ধ্রুব ওর নাকটা লাবণ্যর নাকে ঘষে দিয়ে পিছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরে বলল, ” তুই
যেতে দিলে তবে না যাবো! আর শোন একদম শ্রীতমা শ্রীতমা করবি না তুই।” 
– ও আমার মুখে ওর নাম শুনলে বুঝি গা জ্বলে?
– তোর প্রবলেমটা কী বলতো। তুই শুধু ……
এইভাবে আবারও ঝগড়া দিয়েই শুরু হল নতুন প্রেমের গান। এক নতুন আশা, চির সঙ্গ
লাভের প্রচেষ্টা।।❤
ভালো থাক আমার গল্পের চরিত্র রা❤
নিয়মিত গল্প পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
ভালো থাকুন, গল্পে থাকুন ।

Thank you, Visit Again…

Share This Article