রোমান্টিক হাসির গল্প (আমার বউ) – Romantic Hasir Golpo

Bongconnection Original Published
13 Min Read


 রোমান্টিক হাসির গল্প (আমার বউ) – Romantic Hasir Golpo

%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AE%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%2595%2B%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B8%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25B0%2B%25E0%25A6%2597%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25AA 4753
Loading...


আমার বৌ
        – প্রদীপ মৌলিক
📱
আমার বৌ ইউটিউব সুন্দরী । 
ইউটিউব ঘেঁটে দিনরাত  মিক্সিতে গুঁড়িয়ে-মিশিয়ে কতো কি বানায় । তারপর
সেইসব মুখে-হাতে-পায়ে-চুলে লাগিয়ে দিন দিন কি সুন্দরী হয়েছে…..কি বলবো,
ফাটাফাটি সুন্দরী ।  বিয়ের সময় ছিলো শ‍্যামাসুন্দরী । আর এখন….
সেরাসুন্দরী । পাড়ার সেরাসুন্দরী । সত‍্যি বলছি, একদিন‌ও বিউটিপার্লারে যায়নি
📱
আমার বৌ

মোবাইলে এক্সপার্ট । রাতদিন মোবাইলে আঙলি করে চলেছে । প্রথম প্রথম খুব রাগ
হতো । বারণ করতাম, শুনতো না । রাগারাগিও করতাম । 


তারপর একদিন বৌ দু’হাতের আঙুলে কি দ্রুত মেসেজ টাইপ করছে দেখে আমি তাজ্জব বনে
যাই । আগেকার দিনে হলে ও নির্ঘাৎ টাইপিস্টের চাকরি পেতো ।

বাংলার হাসির গল্প

Loading...
📱
ইউটিউব ছাড়াও ফেসবুক – হোয়াটস‍্যাপ….আর‌ও কিসব অ‍্যাপ-ম‍্যাপ করে । আমি
সেসব জানিওনা, বুঝিওনা । আমি বড়োজোর মোবাইলে সবুজে আঙুল ছুঁয়ে কথা বলতে পারি
। আর লালে আঙুল ঘষে ফোন কাটতে পারি । অথচ আমার বৌ ঐ ইউটিউব দেখে কতো কি রান্না
করে । কখনো সখনো সেসব রান্নার স‍্যাম্পল টিফিন কৌটোয় ভরে আমায় এ ফ্ল‍্যাট, বি
ফ্ল‍্যাটে পৌঁছে দিতে হয় । আমি অবশ‍্য ডেলিভারি দেবার সময় সবাইকে বলি, খেয়ে
খারাপ লাগলেও প্লিজ আমাদের সংসারে শান্তির কথা ভেবে ‘ভালো হয়েছে’ লিখবেন বা
বলবেন ।
📱


লকডাউনের মধ‍্যে একদিন আমার এক বন্ধু এলো । বাইরে দাঁড়িয়ে‌ই কথা বলে চলে
গ‍্যালো । 
আমি চিন্তিত মুখে ঘরে এলাম । 
বৌ বললো, কি প্রবলেম ?
বললাম, ওর বাবা খুবই অসুস্থ । হয়তো করোনা হয়েছে । এখন কোথায় যাবে, কি করবে
কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা । হেল্প চাইতে এসেছিলো । 
এদিকে লকডাউনে ওদের ফ‍্যাক্টরি বন্ধ । মাইনেও পাচ্ছেনা । পাঁচজনের ফ‍্যামিলি ।
ভাগ‍্যিস রেশনে ফ্রিতে চাল-ডাল-গম দিচ্ছে….ন‌ইলে কি যে হতো !! তার ওপর ওর
বাবার এখন এই অবস্থা !
বৌ সঙ্গে সঙ্গে হাত তুলে বললো, দাঁড়াও এক্ষুনি ব‍্যবস্থা করছি । বলেই মোবাইলে
দ্রুত আঙুল চালাতে থাকলো । তারপর একসময় আমাকে বললো,  শিগগির তোমার
বন্ধুকে ফোন লাগাও ।
আমি ফোনে বন্ধুকে ধরলাম । বললাম, শোন চিন্তা করিসনা —
আমার বৌ ফোনটা আমার হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে কথা বলতে শুরু করলো ।
– কোনো টেনশন করবেন না দাদা । আপনার বাবার চিকিৎসার সব ব‍্যবস্থা আমি করে
দিচ্ছি । আপনার এই নম্বরটায় হোয়াটস‍্যাপ আছে তো ?…..বেশ, আমি ওদের এই
নম্বরটা দিয়ে দিচ্ছি ।…. আপনার নাম ?….. আমি একটু বাদেই আপনাকে আবার ফোন
করছি । বলে আমার ফোনটা রেখে ও আবার ওর ফোনে ব‍্যস্ত হয়ে পড়লো ।
📱
আমি ভ‍্যাবলার মতো বৌয়ের দিকে চেয়ে র‌ইলাম । আর ভাবতে লাগলাম, আমার বৌয়ের
কতো গুণ ! মোবাইলে তুখোড় হবার দৌলতে মুহূর্তে আমার বন্ধুকে বিপদ থেকে বাঁচাতে
দু’হাতের দু আঙুলে কি সব করে যাচ্ছে ! আর একসময় তাকেই আমি এই মোবাইল ঘাঁটার
জন‍্য বকাবকি করেছি ?
ছি ! ধিক আমাকে !!


সেরা হাসির গল্প

📱
একটু বাদেই আমার ফোন থেকে বন্ধুকে ফোন করলো ।
– দাদা, আপনার বাবার নাম ?…..বয়েস ?…..কি কি প্রবলেম বলুন ?….. ঠিকানাটা
বলুন……
📱
কি সুন্দর ঘাড়ে আমার ফোনটা রেখে মাথা কাৎ করে কান দিয়ে চেপে কথা শুনছে আর ওর
ফোনে দু আঙুলে টাইপ করে যাচ্ছে । মাঝে মাঝে টুঙ – টাঙ শব্দ‌ও হচ্ছে ।
তারপর ফোনে বললো, ওকে, রেজিস্ট্রেশন হয়ে গ‍্যাছে দাদা । একটু বাদেই আপনার ফোনে
মেসেজ যাবে । আপনার বাবার নামে বেড‌ও কনফার্ম হয়ে যাবে । নেটটা অন রাখবেন ।
কাল সকালেই অ‍্যাম্বুলেন্স এসে আপনার বাবাকে নিয়ে যাবে । আপনার বাবার চিকিৎসার
সব দায়িত্ব মহামায়া সেবাশ্রমের । ফ্রি ট্রিটমেন্ট । অ‍্যাম্বুলেন্সও ফ্রি ।
শুধু কিছু ওষুধ আর টুকটাক জিনিসের জন‍্য টোকেন অ‍্যামাউন্ট লাগবে…. মাত্র এক
হাজার টাকা । ঐ টাকাটাও আপনার বন্ধুই আপনাকে দিয়ে দেবে । আপনার বাবাকে সুস্থ
করে ঐ মহামায়া সেবাশ্রম‌ই আবার অ‍্যাম্বুলেন্সে করে বাসায় পৌঁছে দেবে ।
📱
আমি অবাক !
এ কে এসেছে আমার বৌ হয়ে ? অসাধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন দেবী দুর্গা….মহামানবী হয়ে
আমার মতো এক ক্ষুদ্র -তুচ্ছ মানুষের বৌ ? আমার কি সৌভাগ্য ! যেখানে কাগজে পড়ি,
টিভিতে দেখি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ…..তাও কোথাও বেড নেই, বেড নেই রব……
সেখানে আমার বৌ শুধু মোবাইলে আঙলি করে এই লকডাউন পিরিয়ডে মাত্র এক হাজার
টাকায় করোনার ট্রিটমেন্ট প্লাস ফ্রি অ‍্যাম্বুলেন্স !!!
মনে মনে বৌকে আর ভগবানকে কোটি কোটি থ‍্যাঙ্কস্ জানালাম ।
📱
পরদিন সকালে বন্ধুকে হাজার টাকা দিতে গেছি ।
বন্ধু আমায় কৃতজ্ঞতা জানাতে গেলে আমি বললাম, বিশ্বাস কর, এসবের বিন্দু-বিসর্গ
আমি জানি না । সব করেছে আমার বৌ ।
📱
দিন পনেরো পর বন্ধুটির বাবা সুস্থ হয়ে ফিরে এলেন । আমার পাড়াসুন্দরী বৌয়ের
নাম ফের ফেটে পড়লো পাড়ায় । ফেসবুক – হোয়াটস‍্যাপে নাকি বৌয়ের ছবিতে লাইক –
কমেন্টের বন‍্যা ব‌ইছে । আমি তার গব্বিত বর ।
এবার নানাজন তাদের সমস্যার কথা বলে, আর আমার বৌ মোবাইল ঘেঁটে তাদের পথ বাৎলায়
📱
হঠাৎ‌ই খবর আসে আমার শ্বশুরমশাই বাথরুমে পড়ে গেছেন ।
লকডাউনে অটো – টোটো পাল্টে পাল্টে ছুটলাম । সঙ্গে বহুবলদায়িনী মোবাইলমর্দিনী
আমার বৌ । অটোতেও তার মোবাইলে আঙলি চলছে ।
📱

গিয়ে দেখি শ্বশুরমশাই চিৎপটাং । ঠ‍্যাঙ ফুলে ঢোল । নিশ্চ‌ই ভেঙেছে । মুহুর্তেই
অ‍্যাম্বুলেন্স হাজির । বুঝলাম এ ঐ অটোতে আঙলির ফল । 

এবার শ্বশুরমশাইয়ের সাথে অ‍্যাম্বুলেন্সে চাপলাম আমি আর আমার বৌ ।
📱
পৌঁছলাম ইষ্টিকুটুম গ্রামের মধ্যে একটা বড়ো স্কুলবাড়ির সামনে । তিনতলা স্কুল,
তিনটে ব্লক । একটায় প্রাথমিক বিভাগ ও বয়স্কদের নৈশ বিদ‍্যালয় । আর দুটো
ব্লকে মাধ‍্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ । মাঝখানে বড়ো খেলার মাঠ ।
গেটে ফ্লেক্সে বড়ো বড়ো করে লেখা – মহামায়া সেবাশ্রম । ইষ্টিকুটুম ।
🌴
ভারি মনোরম জায়গা । চাদ্দিকে গাছপালা, পুকুর, ধানক্ষেত, সব্জিক্ষেত, দু-চারটে
গোয়াল, পোল্ট্রিও চোখে পড়লো । তার‌ই মাঝে স্কুলবাড়িতে এই সেবাশ্রম । বোঝাই
যাচ্ছে টেম্পোরারি ব‍্যবস্থা । 
এই মহামায়া সেবাশ্রমেই আমার বন্ধুর বাবা এসেছিলেন । এবং সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ।
🚔
অ‍্যাম্বুলেন্স স্কুলের মাঠে ঢুকতেই দুজন ছুটে এসে স্ট্রেচারে করে শ্বশুরমশাইকে
নিয়ে গ‍্যালো একটা বিল্ডিংয়ের দিকে । আমার বৌ গ‍্যালো সঙ্গে । আমি এগোলাম
অফিসরুমের দিকে ।
সেখানেও মহামায়া সেবাশ্রমের ফ্লেক্স । ডাক্তারবাবুর নাম ও ছবি আছে । লেখা আছে
সব পরিষেবাই বিনামূল্যে । শুধুমাত্র কিছু চিকিৎসার সরঞ্জাম ও ওষুধের জন্য রোগ
অনুযায়ী নামমাত্র টাকা লাগে । তাও অসুবিধা হলে কিস্তিতে সে টাকা মেটাবার সুযোগ
আছে ।
এরচে ভালো ব‍্যবস্থা এই লকডাউনের বাজারে ভাবাই যায় না ।
🏢
স্কুল বাড়ির মাধ‍্যমিক বিল্ডিং শুধুমাত্র করোনা রুগিদের জন‍্য । অন‍্য বিল্ডিং
অন‍্যান‍্য রুগিদের জন্য ।
💉
ডাক্তারবাবুর ঘর‌ই অফিসরুম । এটাও একটা ক্লাসরুম‌ই । ডাক্তারবাবুর ঘরে বসে
ভাবছি, এইরকম কিছু ভালোমানুষের জন্য‌ই পৃথিবীটা আজ‌ও সুন্দর ।
ডাক্তারবাবু হাত মুছতে মুছতে এলেন ।  একদম ইয়ং ছেলে । 
আমি উঠে দাঁড়িয়ে নমস্কার করতে উনিও আমায় নমস্কার করে হাতে স‍্যানিটাইজার
স্প্রে করে দিলেন । বললেন, আমাকে দেখে দাঁড়ানোর দরকার নেই, নমস্কার করার‌ও
কিছু নেই । আমি আপনার চেয়ে অনেক ছোটো । বসুন প্লিজ ।
কি অমায়িক ব‍্যবহার । বললেন, আপনার শ্বশুরমশাইয়ের একটা পা ভেঙেছে । অন‍্য পা
ঠিক আছে । বয়স হয়েছে তো…. বাথরুমে পিছলে পড়ে গিয়েছিলেন । কোনো ক্রিমিনাল
কেস নয় । সিম্পল ডোমেস্টিক ফ‍্যাক্চার । এক্স-রে করতে পাঠাচ্ছি । প্লেটটা কাল
পাবো । তারপর সেটা দেখে প্লাস্টার – ফ্লাস্টার যা করার করতে হবে । তবে এই বয়সে
হাড় কতোটা জুড়বে বলা মুশকিল । অল্পবয়সে হলে হাড় জুড়ে যেতো শিওর । কিচ্ছু
চিন্তা করবেন না, সব ঠিক হয়ে যাবে….. একটু সময় লাগবে এই যা ।
আমি ডাক্তারবাবুর ব‍্যবহারে গদগদ হয়ে বললাম, আপনার মতো এমন দরদী ডাক্তার এযুগে
বিরল । এখানে করোনা, অর্থোপেডিক ছাড়া আর কোন কোন বিভাগের চিকিৎসা হয় ?
– চোখ, নাক-কান-গলা মানে ENT, হার্ট, কিডনি, গলব্লাডার, গ‍্যাসট্রাইটিস,
প্রসূতি, শিশু, স্ত্রীরোগ প্রায় সব‌ই । শুধু নিউরো-টা বাদে ।
– আপনি ছাড়া আর কতোজন ডাক্তার আছেন এই হাসপাতালে ?
ডাক্তারবাবু হেসে বললেন, হাসপাতাল কি বলছেন ? এখানে হাসপাতালের সেই
ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোথায় ?
আর ডাক্তার ? কেউ নেই । আমি একাই সব সামলাই ।
– বলেন কি !?

– এই ইষ্টিকুটুম গ্রামের মানুষের আন্তরিকতাতেই এসব সম্ভব হয়েছে । এটা এ
অঞ্চলের সবচে বড়ো স্কুল । প্রচুর ছাত্রছাত্রী । লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায়
গ্রামের মানুষ ঠিক করে স্কুল বাড়িটাকে সেবাশ্রম করলে কেমন হয় ! হাসপাতালে যা
খরচ,  সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে । গ্রামের গরীব মানুষের সাধ‍্য কি
শহরের বড়ো হাসপাতালে যাবার ? তাইবলে কি তারা পচে মরবে ? শুরু হলো উদ‍্যোগ ।
ক্ষেত থেকে সব্জি আসছে । রেশনে ফ্রিতে চাল-ডাল-গম যা দিচ্ছে তার বেশিরভাগই তারা
এখানে দান করছে । গোয়াল থেকে দুধ, পোল্ট্রির ডিম, পুকুরের মাছ, গাছের ফল,
মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরাও ওষুধের স‍্যাম্পেল দিচ্ছেন ।💊
সোস্যাল মিডিয়ায় ইষ্টিকুটুম মহামায়া সেবাশ্রমের কর্মকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে
যাওয়ায় মন্ত্রী, এমপি, এম‌এল‌এ, পঞ্চায়েত এবং বহু লোক টাকা – ওষুধ – নানা
খাবার দাবার পাঠাচ্ছেন । 
আমার ওপর ভাল পড়লো চিকিৎসার । গ্রামের ছেলে হয়ে যদি গ্রামের মানুষের উপকারে
না লাগলাম, তাহলে মানুষ হয়ে জন্মালাম কেন ?
– আর অ‍্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ?
– ওটার একটা ব‍্যাপার আছে । আপনি কি পুলিশ ?
– না ডাক্তারবাবু । আমি একটা প্রাইভেট কোম্পানির সামান‍্য কর্মচারী ।
– কোনো মিডিয়ার লোক না তো ? মোবাইল অন করা নেই তো ?
– আপনি নির্ভয়ে বলতে পারেন । ফোন আমার কাছে নেই । বৌয়ের কাছে ।
– ওটা চোরাই গাড়ি । কাগজপত্র কিছুই নেই । এখানেই একজনের বাড়ির পিছনে বাগানে
পড়ে ছিলো । এই গ্রামের লোক ঝাড়পোছ করে সিট বদলে রঙ করে অ‍্যাম্বুলেন্স লিখে
নিয়েছে । ফলে রাস্তায় পুলিশ‌ও ধরছে না ।
– আর তেল খরচ ? ড্রাইভার ?
– যে ড্রাইভার সেই তো ঐ গাড়িচোর । ওর প্রচুর টাকা । গ্রামের লোকের, নেতাদের
মার খাওয়ার ভয়ে তেল ভরছে আর নিজেই চালাচ্ছে । তবে এসব কথা পাঁচকান করবেন না
যেন । 
– সেদিক দিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন । কিন্তু আপনার পারিশ্রমিক ?
আপনার বাবা-মা কতো কষ্ট করে, কতো টাকা খরচ করে আপনাকে ডাক্তারি পড়িয়েছেন ।
অন‍্যান‍্য হাসপাতালের ডাক্তাররা দুহাতে কামাচ্ছেন । আর আপনি এই ফ্রি সার্ভিস
দিয়ে যাচ্ছেন এইসময় ? এতো ভাবাই যায় না ।
– সব মানুষ তো সমান হয়না । আর সত‍্যি কথা বলতে কি, আমি ডাক্তার নই ।
– আপনি ডাক্তার নন ? ফ্লেক্সে আপনার নামের আগে ডাক্তার লেখা দেখলাম !
– ওটা গ্রামের মানুষ‌ই করেছে । সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে ফ্লেক্সে ছবি
দিয়ে ছেপে দিয়েছে ।
– তারমানে আপনি কোনো মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করেননি ?
– না ।
– তাহলে এসব রুগিদের চিকিৎসা করেন কি করে ?
– ইউটিউব দেখে ।
📱
আমার জোর বিষম লেগে হেঁচকি উঠতে থাকলো । 
এমন সময় বৌ এসে জলের বোতল খুলে ধরলো মুখের কাছে ।
ডাক্তার এগিয়ে এসে আমার মাথায় আর পিঠে চাঁটি মারতে থাকলো ।
🙄
জল খেয়ে একটু ধাতস্থ হতেই বৌ ডাক্তারকে নমস্কার জানিয়ে আমাকে নিয়ে বেরিয়ে
এলো ।


…………………………..
নিয়মিত গল্প পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।
ভালো থাকুন, গল্পে থাকুন ।
Thank you, Visit Again…
Tags – 
Golpo,
Comedy Golpo

Share This Article