পরীর গল্প রূপকথা – Rupkothar Golpo – Bangla Cartoon

Bongconnection Original Published
11 Min Read


পরীর গল্প রূপকথা – Rupkothar Golpo – Bangla Cartoon 

পরীর গল্প রূপকথা - Rupkothar Golpo - Bangla Cartoon
Loading...
লাল পরীর গল্প 

পরীর দেশের গল্প

Loading...

পরি রাজ্যে হঠাৎ করে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে গেল, আর তা হলো একজন গরিব পরির ঘরে
জন্ম নিল লাল ফুটফুটে এক পরি। এর আগে কখনও পরিদের রঙ লাল দেখতে না পাওয়ার কারণে
পরিরাজ্যের সকল পরিরা সেই ছোট্ট লাল পরিটাকে দেখার জন্য ভিড় করতে থাকলো।

লাল পরির মায়ের বয়স ছিল অনেক বেশি। সে বয়সের ভারে তেমন একটা কাজকর্ম করতে পারতো
না, তাই তাদের সংসার খুব অভাব অনটনের মধ্যেই চলছিল। কিন’ লাল পরি জন্ম গ্রহণের পর
থেকে যেন এর পরিবর্তন ঘটতে থাকলো। প্রতিদিন পরি রাজ্যের বিভিন্ন পরিরা লাল পরিকে
দেখতে এসে উপঢৌকন দিয়ে যেত আর তা দিয়ে তাদের অভাবের সংসার খুব ভালোভাবেই চলতো।
এভাবে যেতে যেতে লাল পরিরা একদিন অনেক ধন সম্পদের মালিক হয়ে গেলো, এমনকি তারা হয়ে
গেলো পরিরাজ্যের কয়েকজন ধনীর মধ্যে একজন।
লালপরির কথা পরিরাজ্যের পরিরা
ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যের সকলেই জানতো। দৈত্য রাজ্যের কেউ যেন এই কথা জানতে না পারে
সে ব্যাপারে সকলকেই নিষেধ করা ছিল। তারপরও কি কোনো কথা গোপন থাকে? লাল পরিরা এতো
ধন-সম্পদের মালিক হওয়ায় হিংসুটে এক পরি লালপরির কথা জানিয়ে দিলো দৈত্য রাজ্যের
খারাপ দৈত্য হিংসুং- কে।
হিংসুং ছিল দৈত্য রাজ্যের একজন পথভ্রষ্ট দৈত্য। সে
দৈত্য রাজার ছোট ছেলে। খারাপ কাজকর্মের জন্য রাজা তাকে রাজ্য থেকেই বের করে
দিয়েছেন। তাই সে এখন বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে তার অপকর্ম চালায় এবং কেউ তার ক্ষতি
করতে পারে না।
লালপরি আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলো। এলাকায় তার অনেক নাম ডাক।
সবাই তাকে আদর করে পরিরানি বলে ডাকে। সে সবার থেকে আলাদা বলেই সবাই তাকে চোখে
চোখেই রাখে। অনেক ধন-সম্পদের মালিক হওয়ায় তার দেখাশোনার জন্য কয়েকজন দাসীও
নিযুক্ত করা হয়েছে। লালপরির আচার ব্যবহার এতটাই ভালো যে, দাসীরাও তাকে অনেক আদর
যত্ন করতো।
একদিন হঠাৎ করে একজন দাসী কাজে না আসায় লালপরি খুব চিন্তিত হয়ে
গেলো। কারণ ওই দাসীটা অন্যান্য দাসীদের চেয়েও পরিরাণীকে খুব বেশি ভালোবাসতো। সেই
দাসীটার কোনো অসুখ হলো কিনা তা জানার জন্য সে কাউকে না জানিয়ে ঐ দাসীর বাড়ির খোঁজ
করার জন্য বের হয়ে গেল। কিন’ পরিরাণী বাড়ি না চেনার কারণে পথ হারিয়ে অন্য দিকে
চলে গেল।
এসব কিন’ খারাপ দৈত্য হিংসুং আড়াল থেকে দেখছিল। কারণ সেই ঐ দাসীকে
আটকে রেখেছিল জঙ্গলের মধ্যে। তাছাড়া পরিরাণীকে সে বাড়ি থেকে বাইরে আনতে পারছিল
না। অবশেষে হিংসুং বুদ্ধি করে পরিরাণীকে বাইরে আনতে পেরে খুব খুশি হলো এবং তাকে
বন্দি করে নিয়ে গেলে দূর পাহাড়ের চূড়ায়।


লালপরিকে না পেয়ে তার বৃদ্ধ মা প্রায় মরণাপন্ন অবস’ায় বিছানায় পড়ে আছে।
পরিরাণীকে কিভাবে খুঁজে পাওয়া যায় তা নিয়ে পুরো পরিরাজ্যের পরিরা অসি’র। সবাই
যার যার মতো করে খুঁজছে কিন’ পরিরাণীকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে হিংসুং
লালপরিকে পাহাড়ের চূড়ায় রেখে চলে এসেছে দুষ্টু পরির সাথে যুক্তি করতে। কীভাবে
ধন সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে যায় সেই যুক্তিতে তারা যখন মগ্ন ঠিক তখনই অন্যান্য পরিরা
পরিরাণীকে খুঁজতে খুঁজতে সেখানে পৌঁছে গেল এবং তাদের কথাবার্তা শুনে ফেলল।
হিংসুং
-এর সাথে কেউ পেরে উঠবে না বলে তারা সবাই মিলে হাজির হলো পরি রাজ্যের রাজার
কাছে। রাজাকে সব ঘটনা খুলে বলায়, রাজা সেই হিংসুটে পরিটাকে ধরে নিয়ে আনলেন এবং
বললেন- সে যদি না বলে পরি রানি কোথায় আছে তাহলে তাকে শূলে চড়ানো হবে। রাজার এই
শাস্তির ঘোষণা শুনে হিংসুটে পরিটা সবকিছু স্বীকার করে রাজার কাছে প্রাণ ভিক্ষা
চাইলো। কিন’ তার কোনো কথা রাজার মন গলাতে পারলো না।
পরিরাজ্যের রাজার সাথে
দৈত্যরাজ্যের রাজার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তাই পরিরাজ্যের রাজা দৈত্যরাজ্যের
রাজাকে বিষয়টা খুলে বললেন এবং তিনি তার ছেলে হিংসুং-কে আটক করে লাল পরিসহ
বন্দীকৃত দাসীকেও ফিরিয়ে দিলেন।
লাল পরিকে ফিরে পেয়ে তার মাসহ রাজ্যের
সকলেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলো এবং পরিরাজ্যের রাজা লাল পরির সুরক্ষার জন্য
তাকে রাজপ্রাসাদে রাজকন্যার মর্যাদায় থাকার অনুমতি দিলেন???


এক পরীর গল্প

পরীর গল্প রূপকথা - Rupkothar Golpo - Bangla Cartoon

পরীর ছবি


একটা ছিল ছোট্ট পরী । সে সারা দিন আপন মনে খেলা করতো ! কত শত গান গাইতো ।
নাচতো আপন মনে ! ফুলের বাগানে ঘুরে বেড়াতো !

প্রতিদিন বিকেল বেলা সেই ছোট্ট পরী তার বাবা-মার হাত ধরে ঘুরে বেড়াতো ! বাবা
আর মা কে সে অনেক ভালবাসতো

রাতে বাবাকে ছাড়া ঘুমাতোই না !
পরীর বাবা প্রতিদিন পরীকে গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়াতো !

লাল পরী নীল পরীর দেশের গল্প

একদিন পরীর বাবা পরীকে ছেড়ে অনেক দুরে চলে গেল ! পরী অনেক কাঁদলো ! কিন্তু
পরীর বাবা আর ফিরে এল না !

পরীর মা অনেক বুঝালো ! কিন্তু পরী তবুও কাঁদতো !
আর আগের মত নাচতো না ! গাইতো না ! একা একাই থাকতো !

এই ভাবেই পরী আস্তে আস্তে বড় হতে থাকলো !

একদিন হঠাৎ করে পরীর জীবনে এক ডায়নীর ছায়া পড়লো ! ডায়নী পরীর কত ক্ষতি করতে
চাইতো কিন্তু পরীর কোন ক্ষতি করতে পারতো না ! তবুও ডায়নী টা পরীর পিছনে লেগেই
থাকতো !

পরীর তখন আর একটু বড় ! দুর দেশে হাজির হল পড়া লেখার জন্য !
কত কিছু শিখতো ! কত কিছু জানতো ! আবার পরীর নিজের ভিতর নিজেকে ফিরে পেল
!

আবার পরী গাইতে শুরু করলো । নাচতে শুরু করলো !

এমন একদিন পরী বনের ভিতর আপন মনে গাইছিল ! হঠাৎ করেই এক রাজকুমারের সাথে পরীর
দেখা হয়ে গেল !

রাজকুমার অনেক দিন থেকে পরীর গান শুনে আসছিল লুকিয়ে লুকিয়ে !

প্রথম দেখা তেই পরীর প্রেমে পরেছে ! সব কিছুর ছেড়ে পরীর কাছে আসতে চাইলো সে
!

পরীও সেই রাজকুমার কে ভালবাসলো !

কিন্তু সেই ডায়নী এখন পরীর পিছু ছাড়ে নি ! সেই ডায়নী রাজকুমার কে মন্ত্র দিয়ে
তার সব স্মৃতি ভুলিয়ে দিল ! পরীর সব কথা রাজকুমারের মন থেকে হারিয়ে গেল !

পরী আবার একা হয়ে গেল ! পরী আবার একা একাই দিন কাটাতে লাগলো ! সব কিছু ভুলে
থাকতে পরী নিজেই নিজের এক জন কাল্পনিক বন্ধু বানিয়ে নিল !

সেই কাল্পনিক বন্ধুর সাথেই পরীর দিন কাটতে লাগলো ! এতো কিছুর মাঝেও পরী গান
গাইতো ! আপন মনে নাচতো ! আট নিজের কাল্পনিক বন্ধুর সাথে কথা বলতো ! এভাবেই দিন
কেটে যাচ্ছিল পরীর

আস্তে আস্তে পরীর গুনের কথা মানুষ জন জানতে শুরু করলো ! দুরদুরান্ত থেকে মনুষ
আসতো পরীর সাথে কথা বলার জন্য ! পরীর কন্ঠের গান শোনার জন্য !

পরী কিন্তু কারো সাথে দেখা করতে পারতো না ! সেই ডায়নী যাবার আগে পরীকে মন্ত্র
দিয়ে আটকে রেখে গিয়েছিল ! সেই মন্ত্রের তোড় সে একটা বোতলে ভরে নিয়ে গেল নিজের
সাথে । নিজের গলায় ঝুলিয়ে !

পরী ঘরের পাশে একটা বড় বারান্দা ছিল কাঁচে ঘেরা ! পরীর যখন গান গাইতে ইচ্ছা

কর‌তো তখন বারান্দায় এসে গান গাইতো ! মানুষজন বারান্দার নিচে দাড়িয়ে গান শুনতো
!

এমনই করে দুর দেশের আরেক সাধারন ছেলে আসলো পরীর গান শোনার জন্য ! সবাই যখন চল
গেল গান শুনে সেই ছেলেটি তবুও বসে রইলো পরীকে দেখার জন্য ! পরীর কন্ঠ ঠিক তার
বড় বোনের মত ! ছেলেটির বড় বোনও তাকে ঠিক এই ভাবেই গান শোনাতো !

ছেলেটির বড় বোন মারা গেছে অনেক দিন আগে !
সেই একবার পরীর সাথে দেখা করতে চাইলো !

কিন্তু পরী দেখা দিল না !
এভাবে যখন সাত দিন সাত রাত পার হল তখনও ছেলেটি সেই জায়গায় বসে রইলো !
তখন পরীর একটু মায়া হল !

প্রহরীকে বলে সে ছেলেটি কে নিজের প্রাসাদের ভিতর নিয়ে এল ! পরী পর্দায় আড়াল
থেকেই দেখতে কে দেখতে লাগলো !

যখন ছেলেটি কে খাবার দেওয়া হল সে খেতে অস্বীকৃতি জানালো ! সে বলল যে সে পরী কে
নিজের চোখে না দেখে কিছু খাবে না !

পরী কি করবে কিছুই ভেবে পেল না ! পরী বলল তার দেখা করতে হলে সেই ডায়নি বুড়িকে
মেরে তার গলায় ঝুলানো লকেট নিয়ে আসতে হবে ! আর লকেটক টা আনতে হবে ঠিক তার
জন্মদিনের চার দিনের মাথায় ! তা না হলে দেখা হবে না !

ছেলেটি তখনই বের হয়ে গেল ! কারন হাতে সময় ছিল খুব কম !
সাত দিন সাত রাত পার করে ছেলেটি সব থেকে উচু পাহারে গিয়ে হাজির হল যেখানে
ডায়নী বুড়ি ছিল !

ডায়নি বুড়ির কে মেরে ছেলেটি বুড়ির গলার গলায় ঝুলনো বোতল নিয়ে আবার রওনা দিল
পরীর প্রসাদের উদ্দেশ্য !

ঠিক ঠিক পরীর জন্মদিনের চার দিনের মাথায় হাজির হল পরীর রাজ প্রসাদের সামনে !
আজকে পরীর সাথে তার দেখা হবে ! বোতলে রভেতরে ধোঁয়া জাতীয় কিছু ছিল । ছেলেটি সেই
ধোঁয়া প্রসাদের চারি পাশে ছিটিয়ে দিল ! মন্ত্র দুরে হয়ে গেল ! এখন পরী মুক্ত
!

পরী কি এখন বের হবে ?
তার মত একজন সাধারন ছেলের সাথে দেখা করবে ! তবুও ছেলটি দারিয়েই রইলো !
এতো দিন পরে ছেলেটি তার হারানো কাউকে ফিরে পাবে ! এই আশায় ছেলেটি দাড়িয়ে রইলো
!

আজ কি তার সাথে পরীর দেখা হবে ? ঐ তো সূর্য অস্ত যাচ্ছে । ঠিক তখন প্রাসাদের
দরজা খুলে গেল ! এই তো বেড়িয় আসছে !

কেউ একজন বেড়িয়ে আসছে !

পরী আপুর জন্মদিনে ঢাকাতেই ছিলাম না ! কি করি !! একটু দেরী হয়ে গেল ।
যাক
না !
আমি জানি পরী আপুর কাছে এটা কিছু মনেই হবে না !
একটু দেরীতে
হলেও আপু তোমাকে জানাই শুভ জন্মদিন !!

ঠিক পরীর মতই যেন সুন্দর হয় তোমার জীবন !!

প্রিয় গল্প পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট। 

 ভালো থাকুন।..

Thank You, Visit Again…


Share This Article