যৌনতার গল্প (সেক্স Addiction) – Jounota Golpo

Bongconnection Original Published
6 Min Read


 যৌনতার গল্প (সেক্স Addiction) – Jounota Golpo

যৌনতার গল্প (সেক্স Addiction) - Jounota Golpo
Loading...

আসক্তি
হাইপার সেক্স অ্যাডিকশন
সপ্তর্ষি আজ সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে।  
গতকালই ছুটি দিয়েছেন ডাক্তার সরকার।। কিন্তু গতকাল সাপ্তাহিক লকডাউন থাকার
কারনে বাড়ি ফিরতে পারেনি। 
অগ্নিমিত্রা মন থেকে সব মেনে নিয়েছে, তাঁর সাথে আজ ও খুব খুশি এক নতুন মানুষ কে
দেখতে পাবে বলে, যে তাঁর বাকী জীবনের সুখ দুঃখের সাথি হবে, এখনও যে
সপ্তর্ষি  ও অগ্নিমিত্রার পুরো জীবনটাই পরে আছে। শুরুর এই কয়েকটা মাস কে
জীবনের এক কালো অধ্যায় মেনে ভুলে যেতে চায় অগ্নিমিত্রা। 

সপ্তর্ষি পাল সম্ভ্রান্ত পরিবারের এক মাত্র ছেলে। আপাতদৃষ্টিতে একজন সুস্থ,
সবল, দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন ছেলে।  

ছোটবেলা থেকেই পড়োশোনায় খুব ভালো। সপ্তর্ষির বাবা ভারতীয় রেলের উচ্চপদস্থ
আধিকারিক। 
সপ্তর্ষি ও  শহরের এক নামকরা চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট।  বাবা , মা ও
ছেলের পরিবারে অভাব বলতে  কিছুই নেই। 
প্রথম দিকে বিয়ে করতে রাজি না হলেও এক ক্লাইন্টের সুন্দরী শিক্ষিতা মেয়েকে ভালো
লেগে গেলে ,  কথা এগিয়ে মহা ধুমধামে বিয়েটা করে নেয় সপ্তর্ষি। 
বাড়ির নতুন সদস্যা পেয়ে সপ্তর্ষির বাবা মা ও খুব খুশি, একপ্রকার বিনা যৌতুকেই
অগ্নিমিত্রা কে ঘরের বৌ করে এনেছে তাঁরা । 
সমস্যা টা শুরু এর পরেই।

Jounota Kobita

Loading...

কয়েক দিন থেকেই রুক্মিণী দেবী লক্ষ করছেন অগ্নিমিত্রার শরীরে কিছু পরিবর্তন,
শরীরের কোনো কোনো জায়গায় কালশিটে দাগ। হাঁটা চলাতে ও কেমন একটা ছাড়াছাড়া ভাব,
কিন্তু এমন ভাবে হাঁটাচলা কিন্তু করতো না অগ্নিমিত্রা। দেখলেই বোঝা যাচ্ছে তাঁর
কোনো একটা কষ্ট হচ্ছে। 

বার বার জানতে চেয়েও কোনো সদুত্তর পায়নি রুক্মিনী দেবী।  
বিয়ের এক মাসের মধ্যেই যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত ও রক্তক্ষরন সমেত একাধিক উপসর্গ নিয়ে
শহরের নাম করা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তী হলো অগ্নিমিত্রা। 
প্রাথমিক চিকিৎসা করতে গিয়ে গাইনোকোলিজস্ট ডাক্তার বাসু অবাক ও ভয় পেয়ে গেছিলেন
। 
অগ্নিমিত্রার যৌনাঙ্গের পর্দা গুলো ক্ষত বিক্ষত ছিলো , তার থেকে অনবরত রক্তপাত
হচ্ছিলো, এবং  তিনি লক্ষ্য করেন অগ্নিমিত্রার সাড়া শরীরে , বিশেষ করে
গুপ্তাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাৃঁকা ও ব্লেডের  আঘাতের চিহ্ন।
এমত অবস্থায় রক্তক্ষরন এতোটাই হচ্ছিলো যে অগ্নিমিত্রা কে বাঁচানোর জন্য তাঁর
ফ্যালোপিয়ান টিউব কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন। 
প্রায় এক মাস মৃত্যুর সাথে লড়াই করে বাড়ি ফিরে এসেছিলো অগ্নিমিত্রা, চিকিৎসা
চলাকালীন কিছু  ঘটনা ডাক্তার রা জানতে পারেন কথায় কথায়। .

সপ্তর্ষি আপাতদৃষ্টিতে স্বাভাবিক হোলেও একজন ভয়ংকর যৌনাকাঙ্খী পুরুষ ছিলো ।
প্রতি রাতে ল্যাপটপ/ মোবাইলে পর্ণ সাইটে দেখা এক্সট্রা অর্ডিনারি সেক্স ভিডিও
গুলোতে দেখানো অত্যচার গুলো সে প্রয়োগ করত অগ্নিমিত্রার ওপর।  মারধর,
সিগারেটের ছ্যাঁকা, তো রোজকারের ঘটনা ছিলো।

যোনি ছিদ্র বড়ো করার জন্য আরটিফিসিয়াল যৌনাঙ্গ ও ব্যবহার করতো সপ্তর্ষি।
শুধুমাত্র লিঙ্গদ্বারা মিলনই নয়, পকৃতপক্ষে স্ত্রীকে যৌনযন্ত্রণা দিয়ে
তৃপ্তিলাভ করতো সপ্তর্ষি। 
মাত্রাতিরক্ত যৌন বিষয়ক আলাপ আলোচনা , নীল ছবি দেখা, নিষিদ্ধ বই পড়া, যৌন
উত্তেজক জিনিষ নিয়ে ভাবা। এটা একটা এডিকশান। দিন রাত শুধু এইও সবই মাথায় ঘোরা ,
সব সময়ই এর চিন্তা করা। অতিরিক্ত যৌনাচার এর জন্যেই এই রোগ। 
বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকেই পুলিশে কল করে সপ্তর্ষির সম্বন্ধে সব কিছু বলায়,
বাড়ী থেকেই সপ্তর্ষিকে এরেস্ট করা হয়, নিজের স্ত্রীকে যৌন অত্যাচার করার
অপরাধে, আর কয়েকদিনের সাজার পর তাকে জেল থেকেই  হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিলো
মানসিক চিকিৎসার  জন্য। 
আরো পড়ুন,যৌনতা ও প্রেম
হাসপাতালে থাকাকালীন আরো বড়ো ঘটনা জানতে পারেন তদন্তকারী পুলিশ ও ডাক্তার রা।
ছোটোবেলাতেই সপ্তর্ষির এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়া দিনের পর দিন তাকে মলেস্ট
করেছিলেন, বাড়িতে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি , কারন তাঁরা বিশ্বাস করেনি
ব্যাপারটা। 
এরপর থেকেই কেমন যেন পাল্টাতে থাকে সপ্তর্ষি । 

যেমন যেমন বড়ো হতে শুরু করলো  বন্ধুবান্ধবের সাথে পরে বড়োলোকি বাবার
বড়োলোক ছেলে কুসঙ্গে মিশতে শুরু করলো লেখা পড়ার সাথে চলতো নিষিদ্ধপল্লিতে
যাতায়াত, নীল-ছবি দেখা, আর কিছু পয়সার লোভ দেখিয়ে চলতো পথ কন্যাশিশুদের 
ওপর  যৌন্য অত্যাচার। 

বিয়ের পর স্ত্রী নামক খেলনাটি হাতে আসার পরে প্রয়োগটি বেশী মাত্রায় হয়ে গেছিলো
এই আরকি।
ডাক্তাররা বলছে এটা একটা মানসিক রোগ। যা মেয়েদের ক্ষেত্রে “নিম্ফোম্যানিয়া” ও
ছেলেদের ক্ষেত্রে “স্যাটাফোরিয়াসিস” নামে পরিচিত। 
এগুলো আবার বিভিন্ন বড়ো মানসিক রোগের প্রাথমিক উপসর্গ ও বটে। আসলে এটিই হল
বিকৃত যৌনবোধ বা হাইপার সেক্স অ্যাডিক্সান। হরমনের ভারসাম্যহীনতা অনেকাংশে এর
জন্য দায়ী।
লক্ষ্য করে দেখা গেছে অনেক মানুষই ছোটোবেলায় যৌন উৎপীড়নের শিকার হয়, যা তারা সব
সময় সবাইকে বলতে পারে না। বড়ো হওয়ার পরে এটাই অনেকক্ষেত্রে যৌন বিকৃতি বা
সেক্সুয়াল  ফেটিসিজমের কারন হয়ে ওঠে। 

সপ্তর্ষি কে ছুটি করানোর পর ডাক্তার সরকার সপ্তর্ষির সামনেই অগ্নিমিত্রার সাথে
কিছু কথা বলেন। উনি বলেন ,  

“ যৌন অত্যচার কখনোই স্বাধীন যৌনতার সংজ্ঞা হতে পারেনা।  
এইরকম অত্যাচার কখনই সহ্য করবেন না। আশেপাশে এমন ঘটনা ঘটছে দেখলে প্রতিবাদ
করুন। সে আপনার যত কাছের বা ভালোবাসার মানুষ হোক না কেন, তার মধ্যে  বিকৃত
যৌনতার বিন্দুমাত্র সন্ধান পেলে হয় তাকে কাউন্সিলিং করান, নয়ত প্রতিবাদ করুন।
চুপ থেকে সহ্য করবেন না। এদের ভেতরেই কখনো কখনো ধর্ষক লুকিয়ে থাকে।
                     
     
প্রিয় গল্প পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে। 
ভালো থাকুন, ভালোবাসায় থাকুন। ..
Thank You, Visit Again…

Share This Article