Bangla Boroder Golpo (বড়দের গল্প) | Bengali Story

Bongconnection Original Published
8 Min Read



 Bangla Boroder Golpo (বড়দের গল্প) | Bengali Story

Bangla Boroder Golpo (বড়দের গল্প) | Bengali Story
Loading...

(প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য )

জেল থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথমেই রুপাঞ্জনার কোয়ার্টারে পৌঁছে ওর আগুনে শরীরটার সাথে
বেশ কিছুক্ষণ খেলা করে অনিমেষ। আশ মিটিয়ে ফুর্তি করার সময় অন্তরঙ্গ মুহূর্তে রুপা
জিগ্গেস করে এখনও যে ছোট্ট একটা নরম কাঁটা গলায় বিঁধে আছে সেটাকে গিলবে না উপড়ে
ফেলবে। রুপার রূপের উত্তাপে বিভোর অনিমেষ উত্তর দেয় প্ল্যান মাফিক সবকিছু যখন
হয়েছে শেষ ব্যবস্থাও হবে। 


প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পিতার একমাত্র সুন্দরী কন্যা। বয়স তেত্রিশ। গান জানে।
শ্যামবর্ণা। জন্মান্ধ। কলিতে নিজ তিনতলা বাড়ি। ঘর জামাই থাকতে ইচ্ছুক শিক্ষিত
সহৃদয় সুপাত্র চাই। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে বিজ্ঞাপনটা দেখে একটুও দেরি না করে
চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্য মহাশয়ের সাথে যোগযোগ করে অনিমেষ বাগচি। পরিচয় দেয় সে হাওড়া
বাগনানের ছেলে। উনিশশো নিরানব্বই সালের দোশরা আগস্ট গাইসালের ট্রেন দুর্ঘটনায়
একসাথে বাবা মা আর বোনকে হারিয়েছে। এখন হাওড়া সালকিয়ায় মেস ভাড়া নিয়ে থাকে আর
একটা ওয়াটার পিউরিফায়ার কোম্পানিতে সেলসম্যানের সামান্য চাকরি করে। শিক্ষাগত
যোগ্যতা গ্রাজুয়েট। সেইভাবে নিজের বলতে আত্মীয় স্বজন কেউ নেই। কোনো পিছুটান নেই।
আরো বেশ কয়েকটি সন্মন্ধ আগেই এসেছে কিন্তু পিছুটানহীন এমন সুন্দর, সুঠাম, ভদ্র,
সুপুরুষ ব্রাম্ভণ তারা কেউই নয়। শেখর বাবু অনিমেষকে বলেন দেখো বাবা আমার একমাত্র
মা মরা মেয়ে অথৈ জন্ম থেকেই চোখে দেখেনা। অনেক চেস্টা করেছি। ডাক্তার বদ্যি থেকে
শুরু করে টোটকা ইত্যাদিও কিছু বাদ দিইনি। ভেলোর থেকে নিরাশ হয়ে ফিরে বিদেশ
পর্য্যন্ত ছুটে গেছি কিন্তু ওর চোখের দৃষ্টি ফিরে আসেনি কোনোদিন। ভগবানের
আশীর্বাদে এই বাড়ি, বাড়ির নিচে হার্ডওয়ার্সের দোকান, গচ্ছিত যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ
সবকিছুরই একমাত্র উত্তরাধিকারিণী আমার অথৈ। এবার আমার বয়স হচ্ছে। শরীর ভাঙ্গছে।
আমার প্রাণের অংশ আমার মেয়েকে সুযোগ্য কারোর হাতে তুলে না দেওয়া অবদি শান্তিতে
মরাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। শেখরবাবুর হাতে হাত রেখে আশ্বাস দেয় অনিমেষ। ঘাড় নেড়ে
চোখের ইশারায় নিশ্চিন্ত হতে বলেন হবু শ্বশুরকে। ধুমধাম করে বিয়ে হয় অথৈ আর
অনিমেষের। সুবোধ ঘরজামাই হিসাবে খুব কম দিনের মধ্যে শ্বশুরমশাইয়ের মন জয় করে
অনিমেষ। দোকানের সব দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার পাশাপাশি অথৈয়ের প্রতি যাবতীয় কর্তব্য
পালন করে। এক বছরের মধ্যেই শেখরবাবুকে একটা ফুটফুটে নাতনি উপহার দেয় দুজনে।
সত্যিই নিশ্চিন্ত হন শেখরবাবু। বছর দেড়েক পর হঠাৎ ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং
সুযোগ্য জামাইয়ের ভরসায় মেয়ে এবং নাতনিকে রেখে ইহলোক পরিত্যাগ করেন চন্দ্রশেখর
ভট্টাচার্য। শ্রাদ্ধ শান্তি মিটতে না মিটতেই শুরু হয় শয়তানের খেলা। রাতের পর রাত
বাড়ির বাইরে কাটাতে থাকে অনিমেষ। বাড়িতে থাকলে সন্ধ্যে হলেই মদের আসর বসে দোতলার
ঘরে। অচেনা গলার অজানা শব্দের নোংরা বাক্য বিনিময় কানে আসে অথৈয়ের। পাল্টে যায়
বাড়ির পরিবেশ। একটা আতঙ্ক ক্রমশ গ্রাস করতে থাকে অথৈকে। পুরনো চেনা অন্ধকারটা যেন
আরো গাঢ় হতে থাকে দিনদিন। কোলের ছোট্ট মেয়েটিকে নিয়ে বড্ড অসহায় হয়ে পড়ে অথৈ। সে
যে সবটা সামলাতে অপারগ। কি হবে এই নিষ্পাপ শিশুটার, কি করে বড় হবে ও এইসব ভেবে
নিরন্তর চোখের জল ফেলে অথৈ। একদিন বুকের দুধ খাইয়ে কোলের কাছে মেয়েকে নিয়ে
ঘুমোবার সময় পাশ থেকে কেউ ওর মেয়েটিকে টেনে সরিয়ে নিলে কেঁদে ওঠে ছোট্ট শিশুটি।
কে কে বলে চেঁচিয়ে উঠলে পেছন থেকে মুখটা চেপে ধরে কেউ। ঘরের মধ্যে একাধিক লোকের
উপস্থিতি টের পায় অথৈ। ক্ষণিকের মধ্যে ওর হাত দুটো পেছনে টেনে ধরে খাটের সাথে
বেঁধে ফেলে কে বা কারা। চিৎকার করার চেস্টা সফল হয়না কারণ মুখের ভেতর ততক্ষণে
কিছু গুঁজে দিয়েছে ওরা। মুহুর্তেই পরনের রাত পোশাকটা টেনে ছিঁড়ে ফেলে, পা দুটো
দুদিকে টেনে ধরে থাকে কারা। একের পর এক রাক্ষস ওপরে এসে ছিঁড়ে কুটে খেতে থাকে ওর
শরীরটা, ঘন্টার পর ঘন্টা। মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে নিজেকে
মুক্ত করার চেস্টা করলেও বিফল হয় অথৈ। পাশবিক নির্যাতন শেষ হবার পর ওই বন্দি
নগ্নদশায় মদ্যপ অনিমেষের গলা পায় অথৈ… দু হাজার কম কেনো শালা? পুরো চাই। পুরো।
ফুল পেমেন্ট চাই। অল্পক্ষণ পরেই দুহাতের বাঁধন আলগা করে অথৈয়ের অনাবৃত স্তন
যুগলের ওপর কান্নায় কোকিয়ে ওঠা ওর ছোট্ট মেয়েটাকে শুইয়ে দিয়ে যায় কেউ। নখের
তীক্ষ্ম আঁচড়ে সারা শরীরটা জ্বলে যাচ্ছে তখন, রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে স্তন বৃন্ত দিয়ে
আর সেই রক্তমাখা দুগ্ধ পান করিয়ে নিজের মেয়ের কান্না থামাতে ব্যস্ত একজন সদ্য
ধর্ষিত মা। রাতের পর রাত একই ভাবে চলতে থাকে অবর্ণনীয় অত্যাচার। এমনই এক রাতে নাক
মুখ চেপে ধরে কয়েকটা নিষ্ঠুর হিংস্র জানোয়ার যখন খুবলে খাচ্ছে কোমল মাতৃদেহটা
তখনই সেই পৈশাচিক নির্যাতন আর সহ্য করতে না পেরে দম আটকে যায় অথৈয়ের। নিথর দেহটার
ওপরেও বেশ কিছুক্ষণ অত্যাচার চালিয়ে যায় ওরা। থামেনা।

আরো পড়ুন, পরকীয়া

পুলিশ আসে পরদিন। একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়। দুঁদে উকিল দিয়ে কেস
লড়ে সাজা কমিয়ে এক বছর পর জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় অনিমেষ বাগচি। 

ছাড়া পেয়েই বেশ্যাখানায় এসে মদের বোতল নিয়ে রুপাঞ্জনার কোলে শুয়ে তাকে বিয়ে করে
ঘরে তোলার কথা বলে অনিমেষ। দুবছরের ছোট্ট মেয়েটা পুলিশের তৎপরতায় সরকারি হোমে
আছে, আইনত ওকে ওখান থেকে নিয়ে এসে কিছুদিন পর পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার পর যাবতীয়
সম্পত্তির মালিক হবার পরিকল্পনা করে একটা বেশ্যা আর একটা বর্বর পিশাচ।

বিয়ে করে নিয়ে এসে অথৈয়ের খাটে মুখোমুখি শুয়ে অনিমেষ মেয়েটার ব্যপারে কি করা উচিৎ
জিগ্গেস করলে রুপাঞ্জনা বলে আজ রাতেই ওকে এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে তবে ওরা
সুহাগ রাত করবে। পাশের ঘর থেকে ঘুমন্ত ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশুটিকে নিয়ে এসে
অথৈয়ের বিছানায় শুইয়ে ওর গলাটা টিপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে যাবার মুহুর্তে হঠাৎ
অথৈয়ের গলার আওয়াজ পেয়ে চমকে ওঠে অনিমেষ। তাকিয়ে দেখে রুপাঞ্জনার শরীর থেকে ঠিকরে
বেরিয়ে আসছে অথৈয়ের অবয়ব। নির্বাক দৃষ্টিতে হ্যাঁ করে দেখে ধীরে ধীরে নিজের
শরীরের সব জামা কাপড় খুলে ফেলছে রুপা। ক্রমে ওর শরীরটা বদলে যাচ্ছে। বদলে গিয়ে
রুপার দেহটা থেকে বেরিয়ে আসছে ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত অথৈ। ঘেমে চান করে যায়
অনিমেষ। ভয়ে কেঁপে ওঠে। নিজের অজান্তেই বাঁধাহীন হয়ে নিজের শরীরটাকে কারোর
ধাক্কায় বিছানায় ফেলে দেয় অনিমেষ। রুপা ওর হাত দুটো বেঁধে দেয় খাটের দুটো কোণে।
কোনো প্রতিরোধে সায় দেয় না অনিমেষের শরীরটা। ক্রমে একটু একটু করে ওকে নগ্ন করে
অথৈ। বড় বড় নখ দিয়ে বুকের চামড়াটা ফালা ফালা করে দেয়। ক্রমশ নিচে নামতে নামতে
ধারালো তীক্ষ্ম দাঁত গুলো দিয়ে টেনে ছিঁড়ে নেয় যৌনাঙ্গটা। অনিমেষের বুকের ওপর বসে
রক্ত মাখা মুখ নিয়ে হা হা করে এক তৃপ্তির ভয়ংকর হাসি হাসতে থাকে অথৈ। আস্তে আস্তে
চোখ দুটো বুজে আসে অনিমেষের। 

চন্দ্রশেখর ভট্টাচার্যর বাড়িতে আবার পুলিশ আসে পরের দিন। ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকা
অনিমেষের দেহটা তখন দাহ করারও অযোগ্য। অক্ষত পাওয়া যায় বাচ্ছাটিকে। সহৃদয়
নি:সন্তান পুলিশ অফিসার দায়িত্ব নেন ওর বাকি জীবনের। কোনো শরিক না থাকায় পুলিশ
তালা ঝুলিয়ে দেয় বাড়িটায়।


রুপাঞ্জনা কোথায় হারিয়ে যায় সেটা আর জানা যায়নি। কে ছিলো রুপাঞ্জনা তার ডেরায়
খোঁজ নিয়েও পুলিশ কোনো তথ্য পায়নি। রুপাঞ্জনা নামের কারোর কোনো অস্তিত্ব সেখানে
কোনোদিন ছিলোনা বলে জানা যায়। যুগ যুগ ধরে মামলা চললেও আজও কিনারা হয়নি এই
রহস্যময় বিকৃত খুনের…!

 প্রিয় গল্প পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে। 

 ভালো থাকুন।..

Thank You, Visit Again…


Share This Article