Rudra Mohammad Shahidullah Love Poems (রুদ্রের ভালোবাসার কবিতা)

Bongconnection Original Published
9 Min Read


Rudra Mohammad Shahidullah Love Poems (রুদ্রের ভালোবাসার কবিতা)

Rudra Mohammad Shahidullah Love Poems (রুদ্রের ভালোবাসার কবিতা)
Loading...

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।
ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।
তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।
পুষে রাখে যেমন কুসুম, খোলসের আবরণে মুক্তোর ঘুম।
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে।
ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে।
আমার ভিতরে বাহিরে…
==========
কাব্যগ্রন্থ – সংকলিত
==========

Rudra Mohammad Shahidullah Poem

Loading...


অভিমানের খেয়া

এতোদিন কিছু একা থেকে শুধু খেলেছি একাই,
পরাজিত প্রেম তনুর তিমিরে হেনেছে আঘাত
পারিজাতহীন কঠিন পাথরে।
প্রাপ্য পাইনি করাল দুপুরে,
নির্মম ক্লেদে মাথা রেখে রাত কেটেছে প্রহর বেলা__
এই খেলা আর কতোকাল আর কতোটা জীবন!
কিছুটাতো চাই__হোক ভুল, হোক মিথ্যে প্রবোধ,
আভিলাষী মন চন্দ্রে না-পাক জোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
আরো কিছুদিন, আরো কিছুদিন__আর কতোদিন?
ভাষাহীন তরু বিশ্বাসী ছায়া কতোটা বিলাবে?
কতো আর এই রক্ত-তিলকে তপ্ত প্রনাম!
জীবনের কাছে জন্ম কি তবে প্রতারনাময়?
এতো ক্ষয়, এতো ভুল জ’মে ওঠে বুকের বুননে,
এই আঁখি জানে, পাখিরাও জানে কতোটা ক্ষরন
কতোটা দ্বিধায় সন্ত্রাসে ফুল ফোটে না শাখায়।
তুমি জানো না__আমি তো জানি,
কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে এতো গান, এতো হাসি নিয়ে বুকে
নিশ্চুপ হয়ে থাকি
বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন,
এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত!
তুমি জানো নাই__আমি তো জানি।
মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে,
মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে,
যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু,
করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।
পরাজয় এসে কন্ঠ ছুঁয়েছে লেলিহান শিখা,
চিতার চাবুক মর্মে হেনেছো মোহন ঘাতক।
তবুতো পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে মুখর হৃদয়,
পুষ্পের প্রতি প্রসারিত এই তীব্র শোভন বাহু।
বৈশাখি মেঘ ঢেকেছে আকাশ,
পালকের পাখি নীড়ে ফিরে যায়
ভাষাহীন এই নির্বাক চোখ আর কতোদিন?
নীল অভিমান পুড়ে একা আর কতোটা জীবন?
কতোটা জীবন!!

==========
কাব্যগ্রন্থ – সংকলিত
==========

Rudra Mohammad Poems


      গুচ্ছ কবিতা


১.
থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক
একলা থাকার খুব দুপুরে
একটি ঘুঘু ডাকুক
২.
দিচ্ছো ভীষণ যন্ত্রণা
বুঝতে কেন পাছো না ছাই
মানুষ আমি, যন্ত্র না!
৩.
চোখ কেড়েছে চোখ
উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক।

==========
কাব্যগ্রন্থ – সংকলিত

==========

Rudra Mohammad Shahidullah Quotes


2

চোখ কি জানে না আঁখিতে কতোটুকু মেঘ জ’মে আছে?
কতোটুকু বর্ষার পূর্বাভাস আছে, কতোখানি বর্ষা না-হওয়া গভীর স্তব্ধতা।



3

উচিত ছিলো শোবার ঘরে শাড়ির বাঁধন
খুলতে গিয়ে আমায় দেখে মুখ লুকানো
লজ্জারাঙা স্নিগ্ধ হাসা আঁচল তলে ।
কিন্তু কপাল তোমার বাড়ি এখান থেকে
সেই কতদূর, পুরোপুরি বিশটি মিনিট
খরচ কোরে পৌঁছতে হয় এবং যেটা
বলতে বাধে তোমার কাছে যেতে হলেই
এই বাজারে পুরোপুরি পাঁচটি টাকা!

4

কতোখানি ডাক শুনে ছুটে যায় এই মুগ্ধ মানুষ
অভ্যন্তরে কতোখানি উৎসবে সব পথ ভেঙে একখানা পথ
শুধু একখানা ঘর জেগে ওঠে মর্মের মর্মস্থলে

5

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।
তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।

6

উৎসব থেকে ফিরে যাওয়া আমি সেই প্রত্যাখ্যান,
আমি সেই অনিচ্ছা নির্বাসন বুকে নেওয়া ঘোলাটে চাঁদ।
আমাকে আর কি বেদনা দেখাবে?

7

আমি কবি নই – শব্দ শ্রমিক।
শব্দের লাল হাতুড়ি পেটাই ভুল বোধে ভুল চেতনায়,
হৃদয়ের কালো বেদনায়


8

দুঃখ কষ্ট
এতোটা নিশব্দে জেগে থাকা যায় না, তবু জেগে আছি….
আরো কতো শব্দহীন হাঁটবে তুমি, আরো কতো নিভৃত চরনে
আমি কি কিছুই শুনবো না- আমি কি কিছুই জানবো না!

9

রাজনীতিহীন সাহিত্যচর্চা কপটতা ছাড়া আর কী?

10

কথা ছিলো, শিশু হবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সম্পদের নাম।
নদীর চুলের রেখা ধ’রে হেঁটে হেঁটে যাবে এক মগ্ন ভগীরথ,
কথা ছিলো, কথা ছিলো আঙুর ছোঁবো না কোনোদিন

11

তোমাকে প্রতিদিন লেখার মতো
অনেক রকম খবর আছে

12

তার থ্যাতলানো একখানা হাত
পড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,
আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা

13

উচিত ছিলো । উচিত ছিলো রাত্রিবেলা
হাসনুহানার শাড়ির মতো তোমার চুলের
গন্ধচূর্ন আবেশ আবেশ ভেসে আসা,
উচিত ছিলো তোমার গাওয়া আনমনা গান
অসংলগ্ন একটু আধটু শুনতে পাওয়া
সম্পূর্ন অলক্ষিতে । উচিত ছিলো তোমার বাড়ি
এক্কেবারে আমার বাড়ির পাশেই হওয়া ।

14

চোখ কেড়েছে চোখ উড়িয়ে দিলাম ঝরা পাতার শোক

15

ডাকছে কৃষ্ণপক্ষের রাত- ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?
লুট হয়ে গেল ইতিহাস, স্মৃতি, পতাকা কৃষ্ণচুড়া-
চেতনায় জ্বলে বৈরী আগুন- ঘুমিয়ে পড়লে নাকি?

16

জানি না কখন এইসব স্মৃতি, এসব দৃশ্য
ছায়ার মতোন বেঁধেছি শরীরে বকুলের লাশ!
জেগে দেখি চাঁদ ক্লান্ত দুচোখে মাখে রাত্রির গোপন কাজল
কুয়াশার জল

17

আমি খুব গাঢ় ধ্বংসের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বুকের মাটিতে
পৃথিবীর মতো সুঠাম দাঁড়িয়ে থাকা অবিচল তনু
আমাকে এতটা অসহায়, এতো ম্রিয়মান ভাবো কেন?

18

জেগে আছি, জেগে আছি- যতদূরে যাও
জেনো রাত্রির ঘরে আমারো একখানা জানালা আছে,
চৈত্রের সব পাখি- সব ফুল- সব প্রতীক্ষারা
এই নিশব্দ জানালার কাছে নত হয়ে আসে
অঙ্গের সুষমা খুলে যায় সৌরভরাশি।

19

যৌবন, একাকি রাত শিশিরের শুভ্রতা কাংখিত জীবন তুমি কী নিতে চাও বলো?

20

একটা ঠিকানা চাই।
যেই ঠিকানায় সপ্তাহ শেষে একটি করে চিঠি দিব…….
প্রেম-প্রেম, আবেগে ঠাসা, ভালোবাসায় টইটুম্বুর!
হবে একটা ঠিকানা?
কারনে অকারনে চিঠি দিব…

21

তার দুটো হাত-
মুষ্টিবদ্ধ যে-হাত মিছিলে পতাকার মতো উড়েছে সক্রোধে,
যে-হাতে সে পোস্টার সেঁটেছে, বিলিয়েছে লিফলেট,
লোহার হাতুড়ি দিয়ে সেই হাত ভাঙা হলো।
সেই জীবন্ত হাত, জীবন্ত মানুষের হাত।

22

কোথাও সুস্থতা নেই।
এ সময়ে শোষণের সুশোভন নামই সুস্থতা —
তুমি সেই সুস্থতার নির্বোধ প্রতিক।
আত্মপ্রকাশের সামনে তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে।

23

সে তার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো-
বুঝি সে-কারণে
ফর ফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার শার্ট।
প্যান্ট খোলা হলো। সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।

24

রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই
শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই
হৃদয় বলবে- আছে

25

অতোটা হৃদয় প্রয়োজন নেই,
কিছুটা শরীর কিছুটা মাংস মাধবীও চাই।
এতোটা গ্রহণ এতো প্রশংসা প্রয়োজন নেই
কিছুটা আঘাত অবহেলা চাই প্রত্যাখান।
সাহস আমাকে প্ররোচনা দেয়
জীবন কিছুটা যাতনা শেখায়,
ক্ষুধা ও খরার এই অবেলায়
অতোটা ফুলের প্রয়োজন নেই।

26

দুরত্ব জানে শুধু একদিন খুব বেশি নিকটে ছিলাম

27

তাকে চিৎ করা হলো।
পেটের ওপর উঠে এলো দু’জোড়া বুট, কালো ও কর্কশ।
কারণ সে তার পাকস্থলির কষ্টের কথা বলেছিলো,
বলেছিলো অনাহার ও ক্ষুধার কথা।


28

দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে

29

বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন,
এইতো মাধুরী,
এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত!
তুমি জানো নাই__আমি তো জানি।
মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে,
মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে,
যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু,
করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।

30

কিছু সে চায়নি যেচে, কিছু সে পায়নি, তবু
কিছু কিছু না পাওয়া ব্যথা জমেছে সঞ্চয়ে তার,
যে রকম বীজধান তুলে রাখে অভিজ্ঞ কিষান
সুদিন অঘ্রানে

31

কিছু দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে থাকবে বুকে
কিছু অশ্রু থেমে থাকবে চোখের নিকটে
ঝরাবে না শিশির

32

বাইরে এবং বুকের মধ্যে
হিয়ার ভেতর…হিয়ার মধ্যে
হারানো এক হলদে পাখি উড়ছে বসছে
দুলছে, যেন শৈশবে সেই দোলনা খেলা…
হায়রে আমার বয়স হয় না!

33

যেতে যেতে এই বাস থেমে যাবে বকুল তলায়
যাত্রীরা পড়বে নেমে যে যার মতোন

34

ইচ্ছে ছিলো বিরহের সাথে একরাত কাটাবো নিদ্রায়,
যার কাছে ঋনী হয়ে শিখেছি নির্ঘুম রাতের সুখ
তার সাথেই একরাত পাশাপাশি কাটাবো গভীর ঘুমে

35

দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে
স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,
কোন বেদনার বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত?

36

অথচ এই মাধবীই বলতো
প্রায়ই বলতো
স্মৃতি বলে কোনো কিছুই আমি
বিশ্বাস করি না।

37

আমি যার শিয়রে রোদ্দুর এনে দেবো বলে কথা দিয়েছিলাম
সে আঁধার ভালোবেসে রাত্রি হয়েছে ।
এখন তার কৃষ্ণ পক্ষে ইচ্ছের মেঘ
জোনাকির আলোতে স্নান করে,
অথচ আমি তাকে তাজা রোদ্দুর দিতে চেয়েছিলাম

38

তবু তুমিও বলতে পারছো না – না, নেই, কোথাও নেই,
আমার কোথাও আজ তার ছায়া নেই, সে নেই কোথাও-
বৃষ্টির জলের দাগ মুছে গেছে একদিন সকালের রোদে

39

ভালো আছি, ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ

40

আমি একা এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা

Tags – Bangla Kobita, Bengali Love Poems, Rudra Mohammad Shahidullah

Share This Article