আজকের এই লেখায় দুটো ভিন্ন গল্পকে একই ফ্রেমে রাখা হয়েছে , তবে গল্প দুটি ভিন্ন হলেও অনুভূতিগুলো কিন্তু বড্ড এক ….
অনুগল্প (1) – প্রেম তুমি কেমন আছো ??
বছর সাতেক কেটেছে…
সোহিনী আর শেখর I
আজও একে অন্যকে ভালোবাসে ওরা,
অকপটে I
মিস করে একে অপরকে একান্ত মুহূর্তে…I
ভোরের স্বপ্নে একঝলক….
অথবা …
গুমোট বিকেলে খোলা ব্যালকনিতে,হেডফোনের মন’কেমন করা গানে…
****************************************************
সোহিনী এখন সুচাকুরে রাহুলের ঘর,ও সন্তান সামলাতে ব্যাস্ত..
শেখরের হাতে মাসকাবারী,,
সে এখন দৈনন্দিন খরচের হিসাব কষতে মত্ত I.
****************************************************
না পাওয়া সম্পর্ক গুলোর মধ্যে কেমন যেন আলাদা একটা মাদকতা থাকে,
থাকে সুপ্ত এক আলপিন ফোটানো বেদনা, যা পেতেও যেন বড্ডো ভালো লাগে …
তারাই বোঝে……………………..
যারা সোহিনী ও শেখরের সমগোত্রীয় I
থাকনা এমন’ই অসফল সাফল্য’গুলি;
মোটা ডায়রির পাতার ভাঁজে শুকিয়ে মিশে থাকা গোলাপের মতো..
কে বলতে পারে !
‘এক বিছানায় থাকলে এই উন্মাদনা হয়তো থাকতোই না !’
****************************************************
অনুগল্প (2) যখন জ্বর আসে
একা তখন লাগে, যখন জ্বর হলে কপালে একটা স্নিগ্ধশীতল হাতের ছোঁয়া পাওয়া যায় না…
জ্বর হওয়ার কিছু সুবিধে আছে – ঝালঝাল মাংস বানায় মা, সাধারণত মুখঝামটা দেওয়া বাবা সন্ধ্যেবেলায় আপেল আর মৌসম্বি কিনে এনে একবার উঁকি মেরে দেখে খাচ্ছি কিনা, একবার ‘উমম…” করে উঠলেই বাড়ির লোক ছুট্টে এসে কপালে হাত দিয়ে জ্বর মেপে নেয়…
জ্বর হওয়ার সুবিধে হল, হঠাৎ করেই একটা শরীরখারাপ যে কোনও হেরে যাওয়া মানুষকে খুব স্পেশাল ফীল করাতে পারে…
জ্বর হলে মনে পড়ে যায় কাশফুল, ভাসামেঘ, পথের পাঁচালি, রেলগাড়ি, কুঝিকঝিক, বাসকপাতা, জলপট্টি, কাছের মানুষের যত্ন…
জ্বর হলে পরেই মনে পড়ে যায় সমস্ত ভুলে যাওয়া কথা, বার্তা, স্মৃতি, ঝগড়া, প্রেম, চুমু, ক্ষোভ, অভিমান, বুকের ভেতরে তখন যেন একরাশ শূন্যতা হঠাৎ ই হু হু করে ওঠে । … তখন আমি বিড়বিড় করে নিজেকে বোঝাই সমস্তটাই ক্ষণিক… সমস্তটাই ম্রিয়মান… কোনওটাই আমার চাইতে বড় নয়, কোনওটাই জ্বরে একা থাকার চাইতে বাস্তব নয়… জ্বর হলেই আমি প্রলাপ বকি!
জ্বর তখন লাগে, যখন জ্বর হলেও একা থাকতে হয়….
আপনার প্রিয় লেখাগুলো নিচের শেয়ার অপশনে ক্লিক করতে ভুলবেন না ।
ভালো থাকুন , ভালোবাসায় থাকুন ❤️