এক বৃষ্টিমুখর দিনে
সূর্য সবে হাসছিল খিলখিল
একলা তুমি বাড়ির পথপানে।
পিছন থেকে দমকা হাওয়ার মতো
ছুটতে ছুটতে এল একটি ছেলে
এক চিঠিতেই বলল সে সব কথা
তুমি হয়তো অবাক হলে বটে;
হাজার প্রশ্ন ছুঁড়লে যে তার দিকে
সব প্রশ্নের উত্তর সে ঠিকই দিয়ে গেল
একটুখানি নিজেকে সামলে নিয়ে।
তারও একটি প্রশ্ন ছিল মনে
তোমার উত্তর তিরের মতো এসে
বিঁধল তার কোমল হৃদয়খানি।
তবু তুমি তার কাছে তো অপরাধী নও
কারণ তুমি ঈশ্বরেরই রূপ।
ছিল বোধ হয় একতরফা প্রেম!
অবুঝ ছেলে শোনেনি কোনো বারণ
দাঁড়িয়েছিল তোমার দ্বারে গিয়ে
জানি তোমার করার ছিলনা কিছু।
তাই তো তুমি অপরাধী নও
তার কাছেতে ঈশ্বরেরই রূপ।
ধীরে ধীরে এল যে সেই বাঁক
এল যখন বিদায় নেওয়ার পালা
বলল মেয়ে অভিমানী সুরে
“ভালো থেকো। আর হবেনা দেখা”….
তোমার কথায় পুনরায় সাক্ষাতের আশ্বাস-
কান্না চেপে হাসলো সে ম্লান হাসি
তোমার মুখেও মলিন হাসির ছোঁয়া
তুমিও হয়তো বাঁধা কোনো ডোরে।
রইল তোমায় একটি অনুরোধ,
ভেবোনা তুমি নিজেকে অপরাধী
তার মনে তুমিতো আজও ঈশ্বরেরই রূপ।
প্রিয় প্রেমিকা
প্রিয় প্রেমিকা,
তুমি থেকে যেয়ো আমার অভিমানে।
তুমি থেকে যেয়ো আমার না বলার কথার ভীড়ে।
আমি রেখে দেবো তোমায়, বুকের বাঁপাশে।
গভীরে খুব গভীরে, এতটাই গভীরে যে মৃত্যু পূর্বেও যাবে না হারিয়ে।
তুমি থেকে যেয়ো আমার আবেগে, আমার বিবেকের বিচারে।
তোমাকে রাখি শ্বাসপ্রশ্বাসে,
বেঁচে থাকার আশ্বাসে ।
তুমি থেকে যেয়ো আমার হৃদকম্পনের শব্দে।
যাকে ভালোবাসো, তাকে রেখে দিয়ো শরীরের প্রতিটা অঙ্গে।
যেমন করে যত্ন করো নিজেকে, তেমন করে যত্ন করো প্রেমিকাকে।
ভালোবাসা বাঁচিয়ে রাখো, ভালোবাসার ঘরে।
❤️❤️